বাঘিনীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখল ভারতের আদালত
প্রকাশিত : ১০:১৫ এএম, ১৪ অক্টোবর ২০১৭ শনিবার
দুই বছর বয়সী এক মানুষখেকো বাঘিনীকে হত্যার পরোয়ানা বহাল রেখেছে ভারতের একটি আদালত। এই বাঘিনীর হাতে এ পর্যন্ত চারজন মানুষ প্রাণ হারান।
এর আগে মানুষখেকো এ বাঘিনীকে গত ২৩ জুন হত্যার নির্দেশ জারি করে মহারাষ্ট্রের বন বিভাগ। কিন্তু মহারাষ্ট্রের আদালতে এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে পশু অধিকার কর্মীরা।
গত জুলাই মাসে মহারাষ্ট্রের ব্রাহ্মপুরিতে বাঘিনীটি দুজন মানুষকে হত্যা করে। এসময় তার আক্রমণে আহত হয় আরও চারজন।
এরপর বন বিভাগের হাতে এটি ধরা পড়ে। পরে রেডিও কলার পরিয়ে এটিকে আবারও একটি টাইগার রিজার্ভে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু ছাড়া পাওয়ার পর এই বাঘিনীর হামলায় আরও দুজন মানুষ প্রাণ হারান। তারপর বন বিভাগ এটিকে গুলি করে হত্যার নির্দেশ দেয়।
কিন্তু আদালতে সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেন পশু অধিকার কর্মী ড. জেরিল বানাইট। তাদের যুক্তি ছিল, এটিকে গুলি করে না মেরে চেতনানাশক বুলেট ছুঁড়ে ধরা হোক। তারপর দূরের কোন জঙ্গলে ছেড়ে দেয়া হোক।
এই মানুষখেকো বাঘিনী নিয়ে ইতোমধ্যে পুরো অঞ্চলে আতংক তৈরি হয়েছে। বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, কালা নামের এই বাঘিনী গত ২৯শ জুলাই সংরক্ষিত বনে ঢোকার পর এ পর্যন্ত পাঁচশো কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছে। রেডিও কলার দিয়ে এটি গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বিশ্বে যত বাঘ আছে, তার ৬০ শতাংশই ভারতে। কিন্তু বনাঞ্চল ধ্বংসের ফলে এবং শিকারিদের উৎপাতে বাঘের সংখ্যা এখন অনেক কমে গেছে। ২০১৫ সালে ভারতে ৮০টি বাঘ মারা গেছে। এর আগের বছর মারা গেছে ৭৮ টি।
আর/এআর