দখলে দখলে মরে যেতে বসেছে রাজধানীর বাউনিয়া খাল
প্রকাশিত : ০৯:৪২ এএম, ৩ এপ্রিল ২০১৬ রবিবার | আপডেট: ০৯:৪২ এএম, ৩ এপ্রিল ২০১৬ রবিবার
দখলে দখলে মরে যেতে বসেছে রাজধানীর বাউনিয়া খাল। এ খালে নজর পড়েছে ভূমিধস্যুদের। দখলে অভিযোগের তীর সরকারের দুই মন্ত্রণালয়ের দুই প্রকল্পের দিকেও। জনপ্রতিনিধি, সিটি কর্পোরেশন ও স্থানীয়দের শঙ্কা, এই খাল দ্রুত দখলমুক্ত না হলে, বর্ষায় তলিয়ে যাবে এসব এলাকা। শুধু বর্ষা নয়, শুস্ক মৌসুমেও তৈরী হবে স্থায়ী জলাবদ্ধতা।
পুরনো এয়ারপোর্ট এলাকা, মিরপুর, কাফরুল, ভাষানটেক ও পল্লবী এলাকার পানি নিস্কাশনের জন্য মিরপুর ১৪ থেকে গোড়ান চটবাড়ি পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার বাউনিয়া খালের জায়গা রাখে ওয়াসা। মুল পরিকল্পনায় প্রস্থে ষাট ফুট থাকলেও বাস্তবে অনেক জায়গায় নেই দশ ফুটও। আসছে বর্ষার কথা মাথায় রেখে দিন রাত চলছে বর্জ্য উত্তোলনের কাজ। কিন্তু পানি প্রবাহ বাধা গ্রস্থ হচ্ছে খোদ সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয়ের ভাষানটেক পূনর্বাসন প্রকল্পের কারনে।
খালের ওপর নির্মিত স্থাপনায় বাধাগ্রস্ত হচ্ছে পানি প্রবাহ। খাল দখল করে ভবন নির্মান হলে বড় ধরনের ধ্বসের আশংকা এলাকাবাসির।
খালটি ধরে আরেকটু এগুলেই গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের জয়নগর প্রকল্প। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসির অভিযোগ, খালের ওপর ভবন নির্মান করেছে তারা।
একের পর এক সিটি কপোরেশন আর ওয়াসার চিঠি চালাচালি, যৌথসভা, সীমানা নির্ধারণ, কোনো কিছুই কাজে আসেনি খালের জায়গা উদ্ধারে।
জয়নগর প্রকল্প খালের জায়গায় হলে ভেঙে ফেলার পক্ষে গণপূর্ত মন্ত্রীও।
আর খালের ওপর ভাষানটেক পূনর্বাসন প্রকল্প অবৈধ প্রমাণিত হলে সরিয়ে নেয়ার আশ্বাস দিলেন ভূমি প্রতিমন্ত্রী।
সরকারের মন্ত্রণালয়গুলো জনগুরুত্বপূর্ণ বাউনিয়া খালের জায়গা ছেড়েই প্রকল্প হাতে নেবে এমন দাবি ওয়াসা, সিটিকর্পোরেশন, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়দের।