ডুয়েটে নবীন বরণ ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত
প্রকাশিত : ০৮:২৯ পিএম, ১৫ অক্টোবর ২০১৭ রবিবার
ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) গাজীপুর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের নবীন বরণ ও বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোবরার বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে আনন্দ শোভাযাত্রা ও বৃক্ষরোপন, দ্বিতীয় পর্বে আলোচনা সভা ও সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নতুনদের বরণ ও বিদায়ী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
সকালে বৃক্ষরোপন ও আনন্দ শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন মেকানিক্যাল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন ও টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. আবদুস সাহিদ। এতে বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী সকলেই উপস্থিত ছিলেন।
দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার মিলনায়তনে আলোচনা অনুষ্ঠানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. আবদুস সাহিদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলাউদ্দিন। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অ. দা.) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী, পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান, বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও বিশিষ্ট শিল্পপতি সিম গ্রুপের এমডি ইঞ্জিনিয়ার মোজাফ্ফার হোসেন, সাউথ ওয়েস্ট কম্পোজিট লিমিটেডের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার শামিম রহমান, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা- গ্রুপ ক্যারিফোর’র কান্টি ম্যানেজার শাফী ছাফি, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল হান্নান প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে বিদায়ী শিক্ষার্থীরা স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। এখানে একদিকে যেমন বিদায়ের বাণী ধ্বনিত হয়েছে; ঠিক অন্য দিকে নতুনের আগমনে আনন্দের বার্তা বয়ে এনেছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির ক্ষেত্রে তৈরি পোশাক শিল্প বড় ধরনের চালিকাশক্তি। আর এর উত্তরোত্তর উন্নয়নে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। এ ইতিহাস দিনদিন আরো উজ্জ্বল হচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি বিভাগের বিদায়ী শিক্ষার্থীদের সুন্দর ভবিষ্যৎ ও নবাগত শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে সাদরে গ্রহণ করেন। এছাড়া বিভাগে দেওয়া বিদ্যা কাজে লাগিয়ে বিদায়ী শির্ক্ষার্থীরা সেবার মাধ্যমে দেশ ও জাতির কল্যাণে এগিয়ে আসবেন বলে অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ক্রেস্ট ও ফুল দিয়ে একাদশ ব্যাচের নবীণ শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়া হয় এবং পরে অষ্টম ব্যাচের বিদায়ী শিক্ষার্থীদের বিদায় জানানো হয়।
আরকে/ডব্লিউএন