ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

শিল্পকলায় প্রাঙ্গণেমোরের ‘বিবাদী সারগাম’

প্রকাশিত : ০৪:৪৭ পিএম, ১৬ অক্টোবর ২০১৭ সোমবার

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত ও নৃত্যকলা অডিটোরিয়ামে ১৬ অক্টোবর, সন্ধ্যা ৭টায় মঞ্চস্থ হচ্ছে প্রাঙ্গণেমোর নাট্যদলের ১১তম প্রযোজনা নাটক ‘বিবাদী সারগাম’। নাটকটি রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন দলের জ্যেষ্ঠ সদস্য শিশির রহমান।

ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের আলোয় বাংলার তিন বীর সেনানী বিনয়, বাদল, দীনেশের কলকাতা রাইটার্স বিল্ডিং আক্রমণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ নাটকের নাম ‘বিবাদী সারগাম’। মাতৃভূমির স্বাধীনতার জন্য যে সব বিপ্লবী প্রাণ বলিদান করেছেন গুটি কয়েকজনকে বাদ দিলে আর সবাইকে ভুলে গিয়েছে বর্তমান প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা। এমন কি বর্তমান রাজনৈতিক নেতৃত্বের অনেকেই জানেন না বিপ্লবীদের মধ্যে কাদের উঠতে হয়েছিল ফাঁসির মঞ্চে? আর কারাই বা কারাগারে আত্মবিসর্জন করেছিলেন অথবা ইংরেজ সরকারের প্রশাসনের অত্যাচারে বিনা বিচারে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে হয়েছিল। অবশ্য দেশের জন্য নিবেদিতপ্রাণ যারা স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছিলেন তারা কিছু ব্যক্তি স্বার্থ চানওনি। ওরা দিতে এসেছিল কিছু নিতে নয়। বিনয়, বাদল, দীনেশের কথা অভিবিভক্ত বাংলার অধিকাংশই ভোলেননি। তবে স্বাধীন বাংলাদেশের অনেকেই এই তিন অকুতোভয় বীরের নাম অনেকেই জানেন না। আবার অনেক প্রবীণ দেশ প্রেমিক সচেতন সাধারণ এই মহান বীর সেনানী বিনয়, বাদল, দীনেশের নাম জানলেও তাদের সমগ্র বিপ্লবী জীবনের কথা অনেকেই জানেন না। সেই সঙ্গে বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স দলের কথা ভালভাবে না জানলে বিনয়, বাদল, দীনেশের কথাও সঠিকভাবে জানা যায় না। ঘটনার বিন্যাসের প্রয়োজনে বিনয়, বাদল ও দীনেশকে তুলে ধরতে গিয়ে সমসাময়িক ঘটনাগুলো বিন্যস্ত করা হয়েছে। বিনয়, বাদল, দীনেশ এর মধ্যে বিনয় ও বাদল আত্মহত্যা করেছিল আর দীনেশকে উঠতে হয়েছিল ফাঁসির মঞ্চে। দেশ, মাটি, মানুষ ও মায়ের ভাষাকে ভালবেসে যারা নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন একাতরে সেই সব অকুতোভয় বীর সেনানীদের এই নাটকের মাধ্যমে বিনম্র শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে।

‘বিবাদী সারগাম’ নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন- রামিজ রাজু, মাইনুল তাওহীদ, বন্ধু তুহিন, রিগ্যান সোহাগ রত্ন, শুভেচ্ছা রহমান, সবুক্তগীন শুভ, লিটু রায়, আহমেদ সুজন, চৈতালী চৈতী, রাহুল, নিরঞ্জন নীরু, সুজন গুপ্ত, প্রীতি, মাহমুদুল হাসান, সোহাগ রহমান, স্বাধীন আরুশ, নূপুর, মিঠুন, উর্মিল, মৌসুমী মৌ, পরশ ও বাঁধন সরকার।

 

এসএ/এআর