ঢাকা, শুক্রবার   ১০ জানুয়ারি ২০২৫,   পৌষ ২৭ ১৪৩১

মিয়ানমার সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করবে ইইউ

প্রকাশিত : ০৬:০২ পিএম, ১৬ অক্টোবর ২০১৭ সোমবার

রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নৃসংশতার কারণে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

এ বিষয়ে সোমবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে একটি রেজ্যুলেশন গৃহীত হয়। এতে মিয়ানমারের সঙ্গে সব ধরনের সামরিক সহযোগিতা পুনর্মূল্যায়ণের বিষয়টি গৃহীত হয়।

একইসঙ্গে মিয়ানমার অভ্যন্তরীণ দমননীতিতে ব্যবহার করে এমন কোনো অস্ত্র মিয়ানমারের কাছে বিক্রি না করার বিষয়ে ইইউ সম্মত হয়েছে। এতেও পরিস্থিতির উন্নতি না হলে ইউরোপীয় কাউন্সিল বাড়তি পদক্ষেপ নেবে বলে রেজ্যুলেশনে গৃহীত হয়। রেজ্যুলেশনে আরও বলা আছে,যদি ইতিবাচক পরিস্থিতি দেখা যায়,তবে মিয়ানমারের প্রতি সমর্থন থাকবে ইইউ-এর।

ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফেডেরিকো মুগোরিনির সভাপতিত্বে বৈঠকে জার্মানির ভাইস চ্যান্সেলর, বেলজিয়ামের উপপ্রধানমন্ত্রী, বুলগেরিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী, ক্রোয়েশিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী, চেক প্রজাতন্ত্রের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী, ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, এস্তেনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী, আয়ারল্যান্ড ও গ্রিসের স্থায়ী প্রতিনিধি, স্পেন ও ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ইটালি, সাইপ্রাস, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, লুক্সেমবার্গ,হাঙ্গেরি, নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও মাল্টা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ঘর-বাড়িতে আগুন লাগানো, মানবাধিকার লংঘন, নির্বিচারে গুলিবর্ষণ, স্থলমাইনের ব্যবহার, যৌন নির্যাতন ও সহিংসতার ঘটনায় চরম উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। রেজ্যুলেশনে বলা হয়, এটি গ্রহণযোগ্য নয় এবং এটি অবশ্যই অবিলম্বে থামাতে হবে।

রেজ্যুলেশনে আরো বলা হয়, যখন এতবেশি লোক পালিয়ে আসে তখন বুঝতে হবে সংখ্যালঘুদের নিজেদের জায়গা জমি থেকে উচ্ছেদ করে তাড়িয়ে দেওয়ার জন্য এটি একটি পরিকল্পিত কার্যক্রম। এজন্য এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন শরণার্থীদের নিরাপদ ও মর্যাদার সঙ্গে প্রত্যাবাসন।

রেজ্যুলেশনে আরও বলা হয়, যেহেতেু মানব্কি সহায়তা সেখানে দেওয়া যাচ্ছে না এবং মিডিয়ার কোনও প্রবেশাধিকার নেই তাই সেখানে প্রকৃত প্রয়োজন কী সেটি মূল্যায়ণ করা যাচ্ছে না।

এছাড়া সমস্যা সমাধানের জন্য বাংলাদেশসহ সব প্রতিবেশীর সাথে আলোচনার জন্য মিয়ানমারকে আহবান জানিয়েছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। রেজ্যুলেশনে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করা হয়।

আসিয়ান জোটভুক্ত ১০টি দেশের মধ্যে যারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের অংশীদার তাদেরও এ বিষয়ে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য আহবান জানানো হয় রেজ্যুলেশনে। সূত্র : রয়টার্স।

ডব্লিউএন