জীবন সহজ করতে আধূনিক ১০টি আদবকেতা
প্রকাশিত : ০৫:২৩ পিএম, ১৮ অক্টোবর ২০১৭ বুধবার
যুগ বদলে যাচ্ছে, বদলে যাচ্ছে আদবকেতাও। আধূনিক জীবন যাত্রায় অনেক কিছুই এখন স্বাভাবিক যা আগে ছিল অপ্রত্যাশিত। তবে আধূনিকতার মানে এই নয় যে আদবকেতা ছাড়াই চলবে সবাই। এ যুগে কিছু আদবকেতা আছে যা সব ক্ষেত্রেই মেনে চলা উচিত। আধূনিক এই আদবকেতাগুলো আপনার জীবনকে আরও সহজ করতে সাহায্য করবে। আসুন জেনে নিই আধূনিক ১০টি আদবকেতা সম্পর্কে।
১. কখনোই ফোন না করে কারো বাসায় দেখা করতে যাওয়া উচিত নয়। সারপ্রাইজ দিতে চাইলেও আগে ফোন করে জানুন তিনি কোন পরিস্থিতিতে আছেন। আপনার যাওয়ার বিষয়টি গোপন রেখেই তার খোঁজখবর আগে নিন।
২. কোনো মিটিং বা অনুষ্ঠানে গেলে কখনোই হাতের ব্যাগ কোলের ওপর বা টেবিলের ওপর রাখবেন না। ব্যাগ পায়ের কাছে রাখাটাই ভদ্রতা।
৩. শিশুদের রুমে ঢোকার আগে দারজায় টোকা দিন। এটা ভাববেন না যে আপনি ছোট হবেন। আপনার এই অভ্যাসের কারণে আপনার সন্তানও শিখবে যে, বাবা মায়ের রুমে ঢোকার আগে দরজায় টোকা দিতে হবে।
৪. গাড়ির সবচেয়ে সম্মানজনক আসন হলো চালকের পেছনে। আর এটা মেয়েদের জন্যই বেশি ভালো। এতে গাড়ির চালক দ্রুত গাড়ির দরজা খুলে দিতে পারেন।
৫. এই পোশাকটি কোথা থেকে কিনেছেন? দাম কত? এমন প্রশ্ন করার পর কেউ যদি হেসে উত্তর দেয়, উপহার পেয়েছি। তাহলে এখানেই প্রশ্ন করা বন্ধ করে দিন। তার বলার আগ্রহ থাকলে সে নিজেই অন্য তথ্য দেবে।
৬. নয়টি জিনিস সবার কাছ থেকে গোপন রাখাটাই ভালো। আর তা হলো- বয়স, টাকা-পয়সা, পারিবারিক কলহ, ধর্ম, শারীরিক সমস্যা, প্রেম, উপহার, সুনাম ও অপমান।
৭. সিনেমা হল, থিয়েটার কিংবা কনসার্টে নিজের সিটের কাছে যাওয়ার সময় যারা বসে আছে তাদের দিকে সম্মুখ দিক দিয়ে যান। কখনোই উল্টোভাবে হেঁটে যাবেন না।
৮. লিফটে উঠার সময় মনে রাখুন আপনি যদি আগে নামতে চান তাহলে সবার শেষ উঠে সামনের দিকে দাঁড়ান। পিছন থেকে সবার আগে নামাটা অন্যের জন্য বিরক্তিকর।
৯. কেউ যদি আগে থেকেই রেস্তোরাঁয় যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানায় তাহলে স্বাভাববিকভাবেই বোঝা যায় তিনি বিল দেবেন। তবে কেউ যদি বলে, চলেন কোনো রেস্তোরাঁ থেকে খেয়ে আসি তাহলে ভেবে নেবেন আপনাকেও বিল দিতে হতে পারে। সে দাওয়াত দিচ্ছে, এটা না ভাবাই বুদ্ধিমানের কাজ।
১০. অফিস বা অন্য কারো বাসায় যাওয়ার পর ভেজা ছাতা খুলে শুকানোর চেষ্টা করবেন না। ভেজা থাকলেও ছাতা বন্ধ করে রাখুন। সূত্র : ব্রাইডসাইড।
ডব্লিউএন