রোহিঙ্গাদের দায়িত্ব এককভাবে বাংলাদেশে চাপাবেন না : অ্যামনেস্টি
প্রকাশিত : ০৬:১৮ পিএম, ২১ অক্টোবর ২০১৭ শনিবার
রোহিঙ্গা সংকটে আবারও বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। একই সঙ্গে সংস্থাটি রোহিঙ্গা সংকটের দায় কেবল বাংলাদেশের ওপর না চাপিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে পদক্ষেপ নেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছে। অ্যামনেস্টির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।
গত ২৫ আগস্ট সহিংসতার পর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের উপর সেনাবাহিনীর নিধনযজ্ঞ শুরু হয়। সেনাবাহিনীর হত্যা ও ধর্ষণ থেকে বাঁচতে প্রায় ৬ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ডেপুটি সাউথ এশিয়ার পরিচালক ওমর ওয়ারাচ বলেছেন, বাংলাদেশ একটি দরিদ্র দেশ হয়েও অসাধারণ উদারতা দেখিয়েছেন। তবে সকল পরিস্থিতি মোকাবেলার দায়িত্ব তাদের একার ওপর চাপানো যাবে না। এ জন্য অন্যদেরও এগিয়ে আসতে হবে।
রাখাইনে কোনো আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাকে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না মিয়ানমার। সংবাদমাধ্যম উঠে আসছে রোহিঙ্গাদের মানবিক বিপর্যয়ের গল্প।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার জাতিসংঘের জেনেভা কার্যালয়ে দাতা দেশগুলোর উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে রোহিঙ্গাদের জন্য নতুন অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে দাতাদের। ওই বরাদ্দ বাংলাদেশের কক্সবাজারে স্রোতের মতো আসা রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তায় ব্যবহার করা হবে।
ওমর ওয়ারাচ বলেন, এটি এমন এক সঙ্কট যার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে সুসংহত প্রতিক্রিয়া প্রয়োজন। আরও অনেক দেশকে (বিশেষ করে যারা ওই অঞ্চলের) বড় ধরনের ভূমিকা রাখতে হবে এবং দায়িত্বের বোঝা ভাগ করে নিতে হবে।
গত বুধবার ‘মাই ওয়ার্ল্ড ইজ ফিনিশড’ রোহিঙ্গা টার্গেটেড ইন ক্রাইমস অ্যাগেইনস্ট হিউম্যানিটি ইন মিয়ানমা’ শীর্ষক ৪৭ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন প্রকাশ করে অ্যামনেস্টি। প্রতিবেদনে বলা হয়, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর শত শত শিশু, নারী ও পুরুষকে হত্যা করেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। রাখাইন থেকে তাদের উৎখাত করতে ধারাবাহিকভাবে নির্বিচার হত্যাকাণ্ড, নৃশংস ধর্ষণ ও গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।
অ্যামনেস্টির আশঙ্কা, এসব অপরাধ রোহিঙ্গাদের উগ্রপন্থায় উদ্বুদ্ধ করতে পারে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এসব অপরাধের বিরুদ্ধে স্পষ্ট বার্তা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে এই মানবাধিকার সংস্থাটি। পাশাপাশি অভিযুক্তদের বিচার ও সেনাবাহিনীর ওপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা জোরদারেরও সুপারিশ করে অ্যামনেস্টি।
আর/এআর