মামলাজট কমাতে সান্ধ্যকালীন আদালত নিয়ে প্রধান বিচারপতির প্রস্তাব ইতিবাচক
প্রকাশিত : ১২:১৯ পিএম, ৬ এপ্রিল ২০১৬ বুধবার | আপডেট: ০১:৪৫ পিএম, ৬ এপ্রিল ২০১৬ বুধবার
মামলাজট কমাতে সান্ধ্যকালীন আদালত নিয়ে প্রধান বিচারপতির প্রস্তাবকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন আইনবিদরা। তবে বিষয়টি নিয়ে আরো আলাপ আলোচনার দরকার বলেও মনে করছেন তারা। তাদের মতে, বিচার ব্যবস্থাপনার পরিবর্তন ও বিচারকদের সংখ্যা বাড়ানো গেলে দ্রুতই মামলা জট কমবে।
দেশে বর্তমানে ৩১ লাখ ৯ হাজার ১৭৩ টি মামলা বিচারাধীন। এর সঙ্গে প্রতিদিন যোগ হচ্ছে নতুন আরো মামলা। বিচারকের স্বল্পতা, দক্ষতা, আইনি জটিলতা এবং বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির অভাবে মামলা জমে যায় বলে মনে করছেন আইনবিদরা।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতিবছর গড়ে ১৮ হাজার মামলা হয়। এতো মামলা পরিচালনা এবং নিষ্পত্তিতে হিমশিম খাচ্ছে, দেশের বিচারবিভাগ। এ অবস্থায় গত শুক্রবার প্রধান বিচারপতি সাভারে এক কর্মশালায় সান্ধ্যকালীন আদালত চালু করার কথা বলেন। আর প্রধান বিচারপতির এ কে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন আইনবিদরা।
২০১৫ সালে মোট ১৪ লাখ ২৬ হাজার মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। এই হিসাবে ১৬ হাজার বিচারক প্রতিদিন প্রায় ৩টি করে মামলা নিষ্পত্তি করেছেন। সান্ধ্যকালীন আদালত চালু হলে, বিচারকরা যদি একই পরিমাণ মামলা নিষ্পত্তি করেনÑ তবে এক বছরের মধ্যেই মামলার রায় পাবেন বাদী।
এদিকে ভারতে ২০১৪ সালে প্রধান বিচারপতি ওয়াই কে সাভারওয়াল গুজরাটে প্রথম সান্ধ্যকালীন আদালত চালু করেন। বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে সাড়ে সাতটা পর্যন্ত এই কোর্ট চলে। বর্ধিত কাজের জন্য কর্মচারীদের অতিরিক্ত পারিশ্রমিক দেওয়া হয়। বিশ্বের অন্য দেশেও বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে মধ্যরাতে এবং ছুটির দিনে আদালত চালু রয়েছে।