ঢাকা, রবিবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ৮ ১৪৩১

দ. আফ্রিকার বিরুদ্ধে অবিস্মরণীয় সেই জয়

মীর মাহবুবুর রহমান

প্রকাশিত : ০১:০৫ পিএম, ২২ অক্টোবর ২০১৭ রবিবার | আপডেট: ০১:০৬ পিএম, ২২ অক্টোবর ২০১৭ রবিবার

দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে চলতি সফরে টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর ওয়ানডেও হোয়াটওয়াশের পথে বাংলাদেশ। প্রোটিয়াদের কাছে একের পর এক পরাজয়ে বিধ্বস্ত হচ্ছে টাইগাররা।

তবে বাংলাদেশের কাছে অজেয় নয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ওয়ানডেতেই প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে সিরিজ জিতেছে টাইগাররা। তিন তিনবারিআফ্রিকা বধ করেছে মাশরাফি বাহিনী। বিশ্বকাপের মঞ্চেও দক্ষিণ আফ্রিকাকে ধরাশায়ী করেছে টাইগাররা। বিশ্বকাপের সেই জয় অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে বাংলার কোটি ক্রিকেটপ্রেমির মাঝে।

দেখে নেওয়া যাক প্রোটিয়াদের বিরোদ্ধে বাংলাদেশের সেই জয় গুলো।

প্রভিডেন্স স্টেডিয়াম, গায়ানা ((৭ এপ্রিল, ২০০৭)

বিশ্ব ক্রিকেটের পরাশক্তি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম জয়টি আসে ২০০৭ সালে, বিশ্বকাপের মঞ্চে। সুপার এইটের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মোহাম্মদ আশরাফুলের ব্যাটিং নৈপূন্যে ৬৭ রানের বড় ব্যবধানে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারায় টাইগাররা।

টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে মোহাম্মদ আশরাফুলের ৮৩ বলে ৮৭ রানের ওপর ভর করে ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৫১ রান সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দ রাসেল ও সাকিব আল হাসানদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১৮৪ রানেই গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। আশরাফুল হন ম্যাচ সেরা।

মিরপুর স্টেটিয়াম, ১২ জুলাই, ২০১৫

তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ উইকেটে হারিয়ে সিরিজে সমতা আনে বাংলাদেশ। মোস্তাফিজুর রহমান ও নাসির হোসেনের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১৬২ রানেই থেমে যায় প্রোটিয়াদের ইনিংস। সৌম্য সরকারের অপরাজিত ৮৮ ও মাহমুদউল্লার ৫০ রানের সৌজন্য দক্ষিণ আফ্রিকার ১৬২ রান ৩ তিন উইকেট হারিয়েই টপকে যায় টাইগাররা।

চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম (১৫ জুলাই, ২০১৫)

১-১ এ  সমতা থাকায় তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি রূপ নিয়েছিল ফাইনালে। সে ম্যাচেও সৌম্য সরকারের ব্যাটিংয়ে জয় পায় বাংলাদেশ। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া ১৬৯ রানের লক্ষ্য ২৬ ওভারেই টপকে যায় টাইগাররা। সৌম্য ৯০ রানে আউট হলেও ৬১ রানে অপরাজিত থাকেন তামিম ইকবাল।

 সূত্র : ক্রিকইনফো

/ এমআর / এআর