ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

বাড়ছে নারীর প্রতি সহিংসতা ও নির্যাতনের ঘটনা

প্রকাশিত : ১১:২১ এএম, ৫ এপ্রিল ২০১৬ মঙ্গলবার | আপডেট: ১১:২১ এএম, ৫ এপ্রিল ২০১৬ মঙ্গলবার

নারীর প্রতি সহিংসতা ও নির্যাতনের ঘটনা বাড়ছেই। বিচারিক প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতার কারণে নির্যাতন থামছেনা বলে মনে করেন মানবাধিকারকর্মী ও নারী নেত্রীরা। একইসঙ্গে নারীকে ভোগ্যপণ্য হিসেবে দেখার পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি, আর জেন্ডার সমতার বিষয়টি নিশ্চিত না হওয়ার কথা বলছেন তারা। পশ্চিমা অপ-সংস্কৃতি এবং প্রযুক্তির অপব্যবহারে তরুণ সমাজ বিপথগামী হওয়াটাও অন্যতম কারণ মনে করেন, সমাজবিজ্ঞানীরা। প্রতিনিয়তই চারপাশে ঘটছে এমন নির্যাতনের ঘটনা। ঘরে-বাইরে-গণপরিবহণে এমনকি পাবলিক প্লেসেও নিপীড়িত হচ্ছে নারীরা। প্রায়শই ইভটিজিং এর শিকার হচ্ছে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গামী মেয়েরাও। তনু হত্যার মতো দু-একটি ঘটনা গণমাধ্যমে এলে ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে পুরো দেশ। রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করে নানা শ্রেণী পেশার মানুষ। তবে থেমে নেই দুর্বৃত্তদের ভয়াল থাবা। একের পর এক ঘটছে নির্যাতন ও শ্লীলতা হানির ঘটনা। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের পরিসংখ্যান বলছে, (জিএফএক্স ) ২০১৫ সালেই প্রায় সাড়ে চারহাজার নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে ধর্ষণের সংখ্যা  ৮০৮ টি, গণধর্ষণ ১৯৯টি, ধর্ষণের পর হত্যা ৮৫ টি, ধর্ষণের চেষ্টা ১৪২ টি, শ্লীলতাহানি ১০৩ টি, যৌন নির্যাতন ১৬৮ টি, এসিডদগ্ধ ৩৭টি, পতিতালয়ে বিক্রি ১৮ টি, যৌতুকের কারণে হত্যা ২০৩ টি, যৌতুকের কারণে নির্যাতন ১৮৩ টি, শারীরিক নির্যাতন ৩০২ টি ও উত্ত্যক্তের কারণে আতœহত্যা ২২টি। আর ২০১৬ সালের জানুয়ারি-ফেব্র“য়ারিতেই নির্যাতিত হয়েছেন ৪১১ জন নারী। আর বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের পরিসংখ্যান মতে,  ২০১৪ সালের তুলনায় ২০১৫ সালে নারী নির্যাতনের ঘটনা ৭৪ শতাংশ বেড়েছে। কেন ঘটছে এ ধরণের নির্যাতন, এমন প্রশ্নের জবাবে সমাজবিজ্ঞানী ও মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, এর পেছনে রয়েছে পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি। অপরাধীকে দ্রুত বিচারের আওতায় না আনতে পারাও অন্যতম প্রধান কারণ। জেন্ডার সমতা প্রতিষ্ঠিত না হবার কারণেও নারীরা নির্যাতিত হচ্ছে বলেও মনে করেন তারা। এছাড়া পশ্চিমা অপ-সংস্কৃতি ও প্রযুক্তির অপ-ব্যবহারের কারণে তরুণ সমাজ বিপথগামী হচ্ছে, এ কারণেও নারী নির্যাতন বাড়ছে বলে মনে করেন এই সমাজবিজ্ঞানী। নারীর প্রতি নির্যাতন ও সহিংসতা রোধ করতে বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার পরামর্শ সমাজবিজ্ঞানী ও মানবাধিকার কর্মীরা।