ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

ফের জামিনে বিএনপি নেতা মিনার চৌধুরী

প্রকাশিত : ০৭:৩১ পিএম, ২২ অক্টোবর ২০১৭ রবিবার | আপডেট: ০৭:৩৫ পিএম, ২২ অক্টোবর ২০১৭ রবিবার

বিএনপি নেতা মাহতাব উদ্দিন মিনার চৌধুরীকে আবারও জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট মিনার ফেনীর আওয়ামী লীগ নেতা একরামুল হক হত্যা মামলার আসামী বিচারপতি কে এম আসাদুজ্জামান বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার ছয় মাসের জামিন মঞ্জুর করেন

এর আগেও হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ মিনার চৌধুরীকে জামিন দিয়েছিল, যা গত ১৯ মার্চ আপিল বিভাগ আতিল করে দেয়।তবে এবার মিনার চৌধুরীর এ জামিন শর্ত সাপেক্ষে দেওয়া হয়েছে।

আদালতে মিনার চৌধুরীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ।

বশির আহমেদ পরে বলেন, আদালত শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের জামিন মঞ্জুর করেছে। বিচারিক আদালতে পাসপোর্ট জমা রেখে তাকে জামিনে যেতে হবে।

জামিনের এ আদেশ স্থগিতের জন্য রোববারই আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়েছে বলে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জানান।

ছয় মাসের মধ্যে নিম্ন আদালতে এ মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়ে আপিল বিভাগের ওই আদেশে বলা হয়েছিল, ওই সময়ের মধ্যে বিচার শেষ না হলে হাইকোর্ট মিনার চৌধুরীর জামিনের বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে।

সে অনুযায়ী মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ায় গত রোববার আদালতে ফের জামিন আবেদন করেন মিনার চৌধুরীর আইনজীবী। সে আবেদনের শুনানি নিয়েই হাইকোর্ট রোববার রুলসহ ছয় মাসের এ জামিন দিয়েছে।

২০১৪ সালের ২০ মে ফুলগাজী যাওয়ার সময় ফেনী শহরের একাডেমী এলাকায় একরামুলকে নিজের গাড়িতে গুলি চালানোর পর পুড়িয়ে হত্যা করা হয়।

নিহতের বড় ভাই রেজাউল হক জসিম ওই দিনই ফেনী জেলা তাঁতী দলের আহ্বায়ক মাহাতাব উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরীর ওরফে মিনার চৌধুরীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরো ৩০/৩৫ জনকে আসামি দেখিয়ে ফেনী মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন।

মামলা হওয়ার পর ওই বছর ২৭ মে গোয়েন্দা পুলিশ ঢাকা থেকে মিনারকে গ্রেপ্তার করে। মাঝে একবার তিনি জামিনে কারাগার থেকে মুক্তিও পান।

তবে অভিযোগপত্র দেওয়ার পর নির্দেশনা মেনে আদালতে হাজির না হওয়ার তাকে আবারও গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে গত বছরের ১৫ মার্চ এ মামলার ৫৬ আসামির বিচার শুরু করে ফেনীর আদালত।

বিচার শুরুর আগেই গতবছর ২৪ নভেম্বর মিনার চৌধুরীর আবেদনে তাকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেয় বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও জাফর আহমেদের হাইকোর্ট বেঞ্চ। কেন তাকে স্থায়ী জামিন দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুলও দেওয়া হয়। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করলে গত মার্চে তা বাতিল হয়ে যায়।

আরকে//