ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

সালমান-ঐশ্বরিয়ার বিচ্ছেদের নেপথ্যে…

প্রকাশিত : ০১:২১ পিএম, ২৩ অক্টোবর ২০১৭ সোমবার | আপডেট: ০২:১৮ পিএম, ২৩ অক্টোবর ২০১৭ সোমবার

সাবেক বিশ্ব সন্দুরী ঐশ্বরিয়া রাই। বলিউডে এক সময়ে নিজের দাপিয়ে বেড়ানো এই অভিনেত্রী ঘুম হারাম করেছেন অনেকে সহকর্মীদেরও। তাদের একজন সালমান খান। কয়েক বছর চুটিয়ে প্রেম করেছেন ঐশ্বরিয়া ও সালমান।

তবে বলিউড সুপারস্টার সালমানকে হতাশায় ডুবিয়ে ফের সম্পর্কে জড়ান আরেক বলিউড অভিনেতা বিবেক ওবেরয়ের সঙ্গে। তবে দু’জনের কেউই তাকে ভালোবাসার বন্ধনে আটকে রাখতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত গাঁটছড়া বাঁধেন অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে। বর্তমানে এই দম্পতির একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। কিন্তু ঐশ্বরিয়ার অতীত প্রেম কাহিনী নিয়ে মাঝে মধ্যে অজানা কিছু তথ্য অপ্রত্যাশিতভাবেই বের হয়ে আসে।

সালমান-ঐশ্বরিয়ার রসায়ন নিয়ে জল ঘোলা কম হয়নি। তবে কেনো তাদের প্রেম দীর্ঘ স্থায়ী হলো না! কেনোই বা পরিণতি পেলো না দুজনার ভালোবাসা! এ প্রশ্ন ভক্তদের মাঝে এখনও ওঠে। সেই ব্রেক-আপের অধ্যায় বলিউডে আজো রহস্য। কখনো শোনা গেছে, সালমানের আচরণ পছন্দ হচ্ছিল না প্রাক্তন এই বিশ্বসুন্দরীর। প্রতিটি কাজে অ্যাশের ওপর সালমানের অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণে অতিষ্ট হয়ে উঠেছিলেন নায়িকা। আবার শোনা যায়, প্রেম কাহিনিতে তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে বিবেক ওবেরয়ের প্রবেশই ভাঙনের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

তবে আসল ঘটনা কি?

জানা গেছে, বাবার অমতেই সালমান খানের সঙ্গে সম্পর্কে অনেকখানি এগিয়ে গিয়েছিলেন ঐশ্বরিয়া রায়। কিন্তু শেষমেশ তা আর টেকেনি। আর তাঁদের ভাঙনের অন্যতম কারণ ঐশ্বরিয়ার বাবাই। দাবাং খান একবার স্বীকার করেছিলেন, ঐশ্বরিয়ার বাবার সঙ্গে তিনি বেশ খারাপ ব্যবহার করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি ঐশ্বরিয়ার বাবার সঙ্গে যে ব্যবহার করেছিলাম তা তাঁর একেবারেই পছন্দ হয়নি। স্বাভাবিকভাবে আমার বাবার সঙ্গেও এমন ব্যবহার আমি মেনে নিতাম না। তাই অ্যাশের বাবার আমাকে অপছন্দ করার যথেষ্ট যুক্তি ছিল। আমি সে বিষয়ে কোনো অভিযোগও করছি না।‘

সেই বিষয়টি একেবারেই সহ্য করতে পারেননি সে সময়ের এক নম্বর নায়িকা। আর শুধু বাবাকেই নয়, বান্ধবী অ্যাশের সঙ্গেও একই রকম অপমান করতে শুরু করেছিলেন। যে বিষয়টি দিনের পর দিন মেনে নেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছিল তাঁর পক্ষে। আর তারপরই নাকি একটু একটু করে সালমানের থেকে দূরে সরতে থাকেন তিনি।

বিচ্ছেদের ব্যাপারে ঐশ্বরিয়াও জানিয়েছিলেন, ‘সালমানের খারাপ সময়েও ওর পাশে ছিলাম। কিন্তু মদ্যপ অবস্থায় ওর নিয়ন্ত্রণহীন ব্যবহার ক্রমেই বাড়তে থাকে। শারীরিক ও মানসিকভাবে আমায় অপমানিত হতে হয়েছে বারবার। নিজের সম্মান রক্ষা করতেই শেষমেশ সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি। আমি নিশ্চিত আমার জায়গায় অন্য কেউ থাকলেও এমনটাই করতেন।’

সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া

 

এসএ / এআর