ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

বেরোবির ৪ কর্মকর্তা বরখাস্ত

প্রকাশিত : ০৭:৪২ পিএম, ২৩ অক্টোবর ২০১৭ সোমবার | আপডেট: ০৮:০৭ পিএম, ২৩ অক্টোবর ২০১৭ সোমবার

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ায় রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) চার কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে তথ্য গোপন করার অভিযোগে আরেক কর্মকর্তার পদাবনতি করা হয়েছে। আজ সোমবার সকালে বেরোবির রেজিস্ট্রার ইব্রাহীম কবীর এ তথ্য জানিয়েছেন।

ইব্রাহীম কবীর জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৪তম সিন্ডিকেট সভায় ওই চারজনকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত এক একজনকে পদাবনতি দেওয়া হয়। গত ১৯ অক্টোবর আলাদা চিঠিতে ওই পাঁচজনকে এ বিষয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সাময়িক বরখাস্ত হওয়া চার কর্মকর্তা হলেন বেরোবির উপরেজিস্ট্রার শাহজাহান আলী মণ্ডল, উপরেজিস্ট্রার মোর্শেদ-উল-আলম রনি, উপপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) এটিজি এম গোলাম ফিরোজ ও সহকারী পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) শাহ খন্দকার আশরাফুল ইসলাম।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার চিঠি পাওয়ায় ওই চার কর্মকর্তাতে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁরা নির্দোষ প্রমাণিত হলে এ আদেশ প্রত্যাহার করা হবে।’

মামলার নথিতে উল্লেখ করা হয়, গত ১৯ মার্চ রংপুরের মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে বেরোবির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল জলিল ও সাময়িক বহিষ্কার হওয়া ওই চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। দুদকের সমন্বিত রংপুর জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আকবর আলী এ অভিযোগপত্র দেন।

ওই মামলায় গত ২০ জুলাই বেরোবির সাবেক উপাচার্য আবদুল জলিল মিয়া ও কর্মকর্তা শাজাহান আলী মণ্ডলের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এ ছাড়া অপর তিন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে তথ্য গোপন করার অভিযোগে সংস্থাপন শাখার জিয়াউল হককে উপরেজিস্ট্রার থেকে সহকারী রেজিস্ট্রারে পদাবনতি করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তির আদেশও দেওয়া হয়েছে।

পদাবনতি হওয়া কর্মকর্তা জিয়াউল হক বলেন, ‘গত ১০ ফেব্রুয়ারি সহকারী রেজিস্ট্রার পদে আমাকে স্থায়ী করা হয়। পরে ২ জুলাই আমাকে উপরেজিস্ট্রারে পদোন্নতি দেয় প্রশাসন। কিন্তু ৫৩তম সিন্ডিকেটে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইব্রাহীম কবির স্থায়ীকরণের বিষয়টি না উঠিয়ে শুধু পদোন্নতির বিষয়টি উত্থাপন করেন। ফলে ৫৪তম সিন্ডিকেটে আমার ব্যাপারে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’

তথ্য গোপন করা কর্মকর্তার বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য বলেন, ‘পদাবনতি হওয়া কর্মকর্তার প্রোমোশন (পদোন্নতি) স্থগিত করা হয়েছে। তিনি স্থায়ীকরণের কাগজপত্র সাবমিট করেননি তাই।’

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অনুমোদন ছাড়াই দুর্নীতির মাধ্যমে ৩৪৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের অভিযোগে দুদকের রংপুর সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক আবদুল করিম ২০১৩ সালে মামলাটি করেছিলেন।

/কে আই