ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

সিটিং সার্ভিস বিষয়ে সিদ্ধান্ত এক সপ্তাহের মধ্যে: সেতুমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৪:১০ পিএম, ২৫ অক্টোবর ২০১৭ বুধবার

রাজধানীতে চলাচলরত সিটিং সার্ভিস চলবে কি চলবে না এ বিষয়ে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদের ৪১তম সভা শেষে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।  

গত মে মাসের শুরুতে মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের পর রাজধানীতে সিটিং সার্ভিস বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু এ নিয়ে পরিবহন শ্রমিকদের অসন্তোষ ও কর্মবিরতির প্রেক্ষিতে সিটিং সার্ভিসের নামে চলাচলকারী পরিবহনগুলোকে আরও তিন মাস সময় দেওয়া হয়। তবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ৮ সদস্য বিশিষ্ট সুপারিশ কমিটি গঠন করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। 

জনস্বার্থে সিটিং সার্ভিস বহাল রাখা যাবে, নাকি বন্ধ করা হবে এসব বিষয় খতিয়ে দেখে আগামী তিন মাসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। কমিটির প্রধান করা হয় বিআরটিএ`র রোড সেফটি বিভাগের পরিচালক শেখ মো. মাহবুব-ই রব্বানীকে। কমিটির অপর সদস্যরা হলেন- ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান, শ্রমিক নেতা শাহজাহান বাবুল, ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রতিনিধি, বিআরএটিএ ঢাকা বিভাগের পরিচালক। কমিটিতে সাংবাদিকদের মধ্যে ছিলেন শ্যামল সরকার, ইশতিয়াক রেজা ও অজয় দাসগুপ্ত। 

গত ১৫ অক্টোবর এ কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করে। প্রতিবেদনে ২৬ দফা পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে কমিটি। এসবের মধ্যে রয়েছে- সিটিং বাসের রঙ হবে লোকালের চেয়ে ভিন্ন, স্টপেজ সংখ্যা হবে লোকালের চেয়ে কম, কোন রুটে কত সংখ্যক `সিটিং বাস` চলবে তা নির্ধারণ করবে সরকার, অনুমতি ছাড়া লোকাল বাসকে সিটিংয়ে রুপান্তর করা যাবে না, সিটিং বাসে দাঁড়িয়ে যাত্রী পরিবহন না করা যাবে না ইত্যাদি।  এসব পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশের ভিত্তিতে এক সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে বলে জানান সেতুমন্ত্রী। 

এছাড়া মহাসড়কে অতিরিক্ত পণ্যবাহী যান চলাচল বন্ধে আগামী ১ নভেম্বর থেকে এক্সেল লোড নীতিমালা-২০১২ এর  বর্ধিত জরিমানা কার্যকর করা হবে বলেও জানান কাদের। এতো অতিরিক্ত পণ্যপরিবহন করলে সর্বোচ্চ ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা দিতে হবে।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, সড়ক পরিবহন সচিব নজরুল ইসলামসহ সচিবালয় ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

/ এআর /