অল্পেই চোখে পানি আসা বিশেষ গুণ!
প্রকাশিত : ০৫:২৬ পিএম, ২৫ অক্টোবর ২০১৭ বুধবার
মানুষ অন্য প্রাণি থেকে আলাদা শুধু আবেগের কারণেই। তাই মানুষমাত্রই অনুভূতিপ্রবণ। তবে মন্দ আবেগ মানুষকে পথভ্রষ্ট করে আর ভালো আবেগ মানুষকে অতুলনীয় করে তোলে।
কেউ আবার অতিরিক্ত আবেগপ্রবণ হলেও তা সবার সামনে প্রকাশ করতে পারেন না। আবার অনেকেই আছেন, যাদের অন্যের দুঃখ দেখে চোখে পানি আসে। এক কথায় এরা খুবই সংবেদনশীল এবং আবেগপ্রবণ হন। কিন্তু সমাজের বড় অংশটাই এদের দুর্বল বলে মনে করে।
তবে মনোবিদরা আবার এ শ্রেণির মানুষকে অন্যরকম মনে করেন। আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন এক গবেষণায় দেখতে পেয়েছে যে, যাঁরা অতিরিক্ত মাত্রায় কাঁদেন তাদের মধ্যে কয়েকটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য থাকে। যেমন-
১। মনের মধ্যে কোনো কষ্ট জমে থাকলে তা খুবই ক্ষতিকারক। উল্টোদিকে যারা কেঁদে নিজের কষ্ট বের করে ফেলতে পারেন, তাদের পক্ষে সেই কষ্ট থেকে বেরিয়ে আসাও তুলনামূলক ভাবে সহজ।
জীবনে বড় কোনো ধাক্কা খাওয়ার পরে মুহূর্তের জন্য কাঁদলেও, এরা সেই কষ্ট থেকে বেরিয়ে আসেত পারেন সহজে।
২। অনেকের ধারণা যারা কাঁদেন তারা ভীতু হন। কিন্তু মনোবিদরা উলটো মনে করেন। তাদের মতে, যারা কাঁদেন, তারা সাহসী হন। নিজের মনের ভাব প্রকাশ করতে তারা ভয় পান না। অনেকে কান্না চেপে রাখেন নিজেকে দুর্বল হিসেবে লোকের সামনে দেখাতে চান না তাই। কিন্তু যারা সমস্ত দুঃখ-কষ্টকে মেনে নিয়ে কাঁদতে ভয় বা লজ্জ্বা পান না, তারাই সাহসী।
৩। যারা বেশি কাঁদেন তারা জীবনে সমতা বজায় রাখতে সক্ষম হন। এরা জানেন কেঁদে মনের ভার হালকা করলে জীবনের পথে চলতে তাদের সুবিধাই হবে। উল্টোদিকে যারা না কেঁদে, কষ্ট ভেতরে আটকে রাখেন তাদের মাথায় ও জীবনে সেই কষ্ট বেশি প্রভাব ফেলে। সূত্র : দ্যহার্টিসোল
ডব্লিউএন