ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ৪ ১৪৩১

মিয়ানমারের সদিচ্ছার অপেক্ষায় আছি : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১১:০১ পিএম, ২৫ অক্টোবর ২০১৭ বুধবার | আপডেট: ১১:০৪ পিএম, ২৫ অক্টোবর ২০১৭ বুধবার

রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, তাদের ফেরত নেওয়ার দাবি জানিয়েছি। এখন তাদের (মিয়ানমার) সদিচ্ছার অপেক্ষায় আছি।

বুধবার সন্ধ্যায় মিয়ানমার সফর শেষে হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে নামার পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

এর আগে সোমবার রোহিঙ্গা সংকটের মধ্যেই মিয়ানমার সফরে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সফরে তিনি রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পাশাপাশি মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির সঙ্গেও কথা বলেন।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে দেশটির রাখাইন প্রদেশ থেকে গত ২৫ আগস্টের পর থেকে ৬ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয়। রোহিঙ্গা সংকটের কারণে তার এই সফরকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছিল।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সফরে আমাদের দাবিগুলো আমরা উপস্থাপন করেছি। এখন আমরা অপেক্ষা করছি তাদের (মিয়ানমার সরকার) সদিচ্ছার উপর। তবে আশা করছি, সব কিছুর সমাধান হবে।

তিনি বলেন, দেশটির নেত্রী অং সান সু চি জানিয়েছেন, বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের ফিরিয়ে নিতে তার সরকার কাজ শুরু করেছে। কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নেও তারা কাজ করছে।

বাংলাদেশে নতুন করে আসা ৬ লাখের সঙ্গে আগের আসা ৪ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে একটি ‘যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ’ গঠনে দুই দেশ মতৈক্যে পৌছেছে। আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যেই ‘যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ’ গঠন হবে বলে আমি আশাবাদী। তারাই (মিয়ানমার সরকার) নির্ধারণ করবে কীভাবে কী এটি হবে?

এর আগে গত ২৫ আগস্ট রাখাইন প্রদেশের ৩০টি পুলিশ পোস্ট ও একটি সেনা ক্যাম্পে হামলার পর থেকে ওই অঞ্চলে নতুন করে সেনা অভিযান শুরু হয়। সঙ্গে বাংলাদেশ সীমান্তে শুরু হয় রোহিঙ্গাদের ঢল। আট সপ্তাহে ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশের কক্সবাজারে এসে আশ্রয় নিয়েছে।

জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের এসব নাগরিককে ফেরত নিতে বাংলাদেশের আহ্বান উপেক্ষা করে আসছিল দেশটি। এ প্রেক্ষাপটে বিশ্বজুড়ে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে চলে সমালোচনা। এর মধ্যে গত ১৯ সেপ্টেম্বর পার্লামেন্টে দেওয়া ভাষণে সু চি বলেন, ১৯৯২ সালে করা প্রত্যাবাসন চুক্তির আওতায় ‘যাচাইয়ের মাধ্যমে’ বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রাখাইনের মুসলমানদের ফিরিয়ে নিতে তার দেশ প্রস্তুত আছে।

অক্টোবরের শুরুতে সু চির দপ্তরের মন্ত্রী কিয়া তিন্ত সোয়ে ঢাকায় এলে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে ‘জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রৃপ’ গঠনের বিষয়ে সম্মত হয়। তবে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব যাচাইয়ের কাজটি জাতিসংঘের মাধ্যমে করার পক্ষে অবস্থান জানায় বাংলাদেশ। 

আর/ডব্লিউএন