ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

বহুল কাঙ্ক্ষিত মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের উদ্বোধন

প্রকাশিত : ০১:৪৬ পিএম, ২৬ অক্টোবর ২০১৭ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৩:৩২ পিএম, ২৬ অক্টোবর ২০১৭ বৃহস্পতিবার

দীর্ঘ ছয় বছরের বিপুল কর্মযজ্ঞ শেষে রাজধানীবাসীর বহুল কাঙ্ক্ষিত মগবাজার-মৌচাক-মালিবাগ সমন্বিত ফ্লাইওভার উদ্বোধন করা হয়েছেবৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ফ্লাইওভারের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

এসময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ছিলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আর মৌচাক এলাকায় বানানো অনুষ্ঠান মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন- বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র মো. ওসমান গণি, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

এ ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পরও উদ্বোধন না হওয়ায় অনেকটা হতাশ হয়ে পড়েন রাজধানীবাসী। আজ উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে মৌচাক, রাজারবাগ, শান্তিনগর ও মালিবাগসহ সব অংশের পথ খুলে দেওয়া হবে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। এর আগেই খুলে দেওয়া হয়েছিল আট দশমিক ৭০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ ফ্লাইওভারের সাত রাস্তা, বাংলামোটর ও হলি ফ্যামিলি অংশের ওঠানামার পথ।

 প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকলের প্রতি অনুরোধ, ফ্লাইওভার ব্যবহারে যত্নবান হবেন, ট্রাফিক রুল মেনে চলবেন। ফ্লাইওভার জাতীয় সম্পদ মনে রেখে সেটা ব্যবহার করবেন। বক্তব্য শেষে প্রধানমন্ত্রী, ফ্লাইওভারের মৌচাক থেকে মগবাজার হয়ে ইস্কাটন, শান্তিনগর থেকে রাজারবাগ পুলিশ লাইন, মালিবাগ-মৌচাক হয়ে রামপুরা পর্যন্ত অংশের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

গণভবনের অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, এই ফ্লাইওভার দিয়ে দৈনিক ৫০ হাজার যানবাহন চলাচল করতে পারবে। আর নিচের সড়ক আগের মতোই ব্যবহারের ফলে যানজট থেকে নগরবাসী মুক্ত হবেন। মন্ত্রী বলেন, এ প্রকল্পের প্রতি মিটারে খরচ হয়েছে ১৩ লাখ টাকা, যা অন্যান্য প্রকল্পের তুলনায় ‘অনেক কম’।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে ২০১১ সালে মৌচাক-মগবাজার ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সে সময় ৭৭২ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হলেও কয়েক ধাপে তা বেড়ে ১ হাজার ২১৮ কোটি ৮৯ লাখ ৬৯ লাখ টাকায় পৌঁছায়।

ঢাকার কেন্দ্রভাগে অন্যতম ব্যস্ত এবং চলাচলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় চার লেনের এ ফ্লাইওভারে ওঠা-নামার জন্য তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা, সোনারগাঁও হোটেল, মগবাজার, রমনা (হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল সংলগ্ন রাস্তা), বাংলামোটর, মালিবাগ, রাজারবাগ পুলিশ লাইনস ও শান্তিনগর মোড়ে র‌্যাম্প রাখা হয়েছে।

ফ্লাইওভারটির নির্মাণ কাজ হয়েছে তিন ভাগে। একটি অংশে রয়েছে সাতরাস্তা-মগবাজার-হলি ফ্যামিলি পর্যন্ত, আরেকটি অংশে শান্তিনগর-মালিবাগ-রাজারবাগ পর্যন্ত এবং শেষ অংশটি বাংলামোটর-মগবাজার-মৌচাক পর্যন্ত। এর মধ্যে হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল থেকে সাতরাস্তা পর্যন্ত অংশটি প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর ২০১৬ সালের ৩০ মার্চ যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। একই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর এ ফ্লাইওভারের ইস্কাটন-মৌচাক অংশের যান চলাচল উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন। সোনারগাঁও হোটেলের দিকে নামার র‌্যাম্পটি গতবছর ১৭ মে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়।

ভারতের সিমপ্লেক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড ও নাভানার যৌথ উদ্যোগের প্রতিষ্ঠান ‘সিমপ্লেক্স নাভানা জেভি’ এবং চীনা প্রতিষ্ঠান দ্য নাম্বার ফোর মেটালার্জিক্যাল কনস্ট্রাকশন ওভারসিজ কোম্পানি (এমসিসিসি) ও তমা কনস্ট্রাকশন লিমিটেড এর নির্মাণ কাজ করে।

 

/ আর /এআর