ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৬ জানুয়ারি ২০২৫,   মাঘ ২ ১৪৩১

দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে আদালতে বক্তব্য খালেদার

প্রকাশিত : ০২:২৩ পিএম, ২৬ অক্টোবর ২০১৭ বৃহস্পতিবার

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আজ বৃহস্পতিবার আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন। রাজধানীর বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত  ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১২টা থেকে প্রায় এক ঘণ্টা বক্তব্য দেন খালেদা জিয়া। এরপর তিনি মুলতবি চেয়ে আদালতের কাছে ফের বক্তব্যের জন্য দিন প্রার্থনা করেন।


আদালত আগামী ২ নভেম্বর এ মামলার শুনানির দিন রেখেছেন বলে জানান খালেদা জিয়ার আইনজীবী জাকির হোসেন ভূঁইয়া।


আদালতে বারবার নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এর আগে তিনি দুই দফা আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দিয়েছিলেন।


১৯ অক্টোবর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। ওই দিন বিশেষ আদালতে আত্মপক্ষ সমর্পণ করে জামিন চান খালেদা জিয়া। পরে আদালত জামিন আবেদনের শুনানি শেষে এক লাখ টাকা মুচলেকায় তাঁর জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। আদালত জানান, অনুমতি নিয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে পারবেন খালেদা জিয়া।


ওই দিন জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনে এক ঘণ্টা বক্তব্য দেন খালেদা জিয়া। তাঁর বক্তব্য শেষ না হওয়ায় পরবর্তী বক্তব্যের জন্য ২৬ অক্টোবর আদালত দিন ধার্য করেন। এর আগে গত ১২ অক্টোবর আদালতে হাজির না হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে এই দুই মামলাই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন বিশেষ জজ আদালত।


জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।


২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক হারুন-অর-রশিদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।


মামলার অন্য আসামিরা হলেন—খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী (পলাতক), হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।


এছাড়া জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুদক।


২০১০ সালের ৫ আগস্ট খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক হারুন আর রশিদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।
/ এআর /