ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

মাধ্যমিকে উপবৃত্তি পাবে ৭৩ লাখ শিক্ষার্থী

প্রকাশিত : ১১:০০ পিএম, ২৬ অক্টোবর ২০১৭ বৃহস্পতিবার

চলমান উপবৃত্তি প্রকল্পে এসএসসি বা দাখিল পর্যন্ত মাধ্যমিক পর্যায়ে ৭৩ লাখ ৫৪ হাজার শিক্ষার্থী উপবৃত্তি পাবে। ২০১৪ সালে অনুমোদন পাওয়া এই প্রকল্পের মেয়াদ এ বছরই শেষ হচ্ছে। এজন্য নতুন করে প্রকল্পের সংশোধনী এনে ৫৩৮ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ব্যয় বাড়ানো হচ্ছে, যা মূল বরাদ্দের চেয়ে ৬৮ দশমিক ৮ শতাংশ। এরই মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে।

প্রকল্পটি প্রক্রিয়াকরণ শেষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) মঙ্গলবারের সভায় অনুমোদন দেয়ার সুপারিশ করেছে পরিকল্পনা কমিশন। অনুমোদন পেলে ২০১৭ সালের জুন থেকে পরবর্তী দু বছরে এটি বাস্তবায়ন করবে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ।

এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য ড. কামাল উদ্দীন আহমেদ পরিকল্পনা কমিশনের মতামত দিতে গিয়ে জানান, এ প্রকল্পের মাধ্যমে দরিদ্র শিক্ষার্থীরা শিক্ষার সুযোগ পাবে। নারী শিক্ষা অর্জন বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। শিক্ষার্থী ভর্তির হার বাড়বে। এটি জাতীয় শিক্ষানীতি ও ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় এ প্রকল্পটি অনুমোদনের সুপারিশ করা হয়েছে।

শিক্ষা বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, দেশব্যাপী চলমান প্রকল্পের আওতাধীন উপবৃত্তি কার্যক্রম বন্ধ হলে বিপুল সংখ্যক দরিদ্র শিক্ষার্থী সরকারের উপবৃত্তি থেকে বঞ্চিত হবে। এছাড়া অধিদফতরের অনুরূপ বৃত্তি প্রকল্পের মধ্যে বৃত্তির হার হারমোনাইজেশনের কাজ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তাই এ প্রকল্পের কার্যক্রম অব্যাহত রাখা জরুরি। প্রকল্পের আওতায় দেশের ৭ বিভাগের ১৮৩ উপজেলায় এ উপবৃত্তি কার্যক্রম চলবে। পুরো টাকা ব্যয় হবে সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন থেকে। এর আগে ২০১৪ সালে নেয়া প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৭৯১ কোটি ৩৮ লাখ ৩৬ হাজার টাকা।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এ প্রকল্পের ফলে গরিব পরিবার থেকে আগত শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধ হবে। এছাড়া এবারই প্রথম প্রথাগত ব্যাংকিং ব্যবস্থার বাইরে অনলাইন পদ্ধতির মাধ্যমে (মোবাইল, বিকাশ বা অন্য কোন সহজ পদ্ধতি) সরাসরি শিক্ষার্থীদের কাছে অর্থ পৌঁছানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

আরকে/ডব্লিউএন