ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ৪ ১৪৩১

রাখাইনে ত্রাণ বিতরণের সুযোগ দিতে রাজি মিয়ানমার

প্রকাশিত : ০৮:০৪ পিএম, ২৭ অক্টোবর ২০১৭ শুক্রবার

রাখাইনের উত্তরাঞ্চলে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় জাতিসংঘকে ত্রাণ তৎপরতার সুযোগ দিতে রাজি হয়েছে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ। বিশ্ব খাদ্য সংস্থা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ইউনিসেফের এক প্রতিবেদনে ওঠে আসে, অপুষ্টির কারণে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শিশুরা মারাত্মক পুষ্টিহীনতায় রয়েছে। এ প্রতিবেদন প্রকাশের পরই এই ‘সবুজ সংকেত’ এল মিয়ানমারের পক্ষ থেকে।

এর আগে রাখাইনে বিশ্ব খাদ্য সংস্থা ত্রাণ তৎপরতা চালালেও গত দুই মাস ধরে তা বন্ধ রেখেছিল মিয়ানমার সরকার।

শুক্রবার জেনেভায় এক অনুষ্ঠানে বিশ্ব খাদ্য সংস্থার মুখপাত্র বেটিনা ল্যুশার সাংবাদিকদের বলেন, আমরা কেবল ত্রাণ তৎপরতা শুরু করার ‘সবুজ সংকেত’ পেয়েছি। বিস্তারিত বিষয়ে এখনও মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে। 

তবে ওই এলাকার পরিস্থিতি এখন কেমন সেটি আমাদের আগে দেখতে হবে। তার আগে বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না।

এর আগে বিশ্ব খাদ্য সংস্থা, রাখাইনের উত্তরাঞ্চলে আগে এক লাখ ১০ হাজার মানুষের মধ্যে রেশন হিসেবে খাবার বিতরণ করত। যাদের মধ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের পাশাপাশি স্থানীয় রাখাইন বৌদ্ধরাও ছিল।

উল্লেখ্য, গত ২৪ আগস্ট রাতে কয়েকটি পুলিশ পোস্টে হামলার পর মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ওই এলাকায় নতুন করে অভিযানে নামে। পরে ত্রাণকর্মীদের ওই এলাকায় যাওয়াও বন্ধ হয়ে যায়। তবে রাখাইনের মধ্যাঞ্চলে এক লাখ ৪০ হাজার মানুষের মধ্যে সংস্থাটির ত্রাণ কর্মসূচি অব্যাহত থাকে। 

অভিযান শুরুর পর থেকে গত দুই মাসে ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। গত কয়েক দশক ধরে আরও চার লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করছে।

ইউনিসেফের হিসাবে, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৩ লাখ। যা মোট রোহিঙ্গা সংখ্যার এক তৃতীয়াংশ। এই শিশুদের প্রতি পাঁচজনে একজন মারাত্মক অপুষ্টির শিকার।

ইউনিসেফের মুখপাত্র মারিক্সি মেরকাডো বলেন, সেনা অভিযান শুরুর আগেই রাখাইনের বুথিডং ও মংডুতে রোহিঙ্গা শিশুদের মারাত্মক পুষ্টিহীনতা ছিল। সেখানে চার হাজার শিশুকে মারাত্মক অপুষ্টির চিকিৎসা দেওয়া অবস্থায় গত ২৫ আগস্ট থেকে সেটি বন্ধ আছে।

 

আর/ডব্লিউএন