ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

তেলের দাম কমলেও আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে বিস্তর ফারাক

প্রকাশিত : ০৯:১৯ এএম, ৬ এপ্রিল ২০১৬ বুধবার | আপডেট: ১২:৫৩ পিএম, ৬ এপ্রিল ২০১৬ বুধবার

তিনধাপে জ্বালানি তেলের দাম যে পরিমান কমানো হচ্ছে, তাতেও আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে ফারাক থাকছে বিস্তর। লাভের টাকা বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন কোন খাতে জমা করবে বা কিভাবে খরচ করা হবে, তাও স্পষ্ট নয় এখনো। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দাম কমলে সাময়িকভাবে কিছুটা স্বস্তি ফিরবে। দীর্ঘ মেয়াদে আন্তর্জাতিক বাজার মোকাবেলায় ‘মূল্য স্থিতিশীল তহবিল গঠনসহ’ বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা নেয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন তারা। প্যাকেজ : আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম অব্যাহতভাবে কমার পরেও দেশীয় বাজারে না কমায় সমালোচনা চলছিল বেশকিছু দিন ধরেই। সম্প্রতি ফার্নেস ওয়েলের দাম প্রতি লিটারে কমানো হয় ১৮ টাকা।  গেল রোববার ডিজেল, কোরোসিন, পেট্রোল ও অকটেনের দাম, তিনধাপে সর্বোচ্চ ২০ টাকা কমানোর ঘোষণা আসে। অধচ আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে ২০১৪ সালের জুন থেকেই। দাম কমানোর পর বর্তমানে খোলা বাজারে প্রতি লিটার ফার্নেস ওয়েল বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকায়; অথচ আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে তুলনা করলে মুল্য দাড়ায় ৩০ টাকা। আর ৯৯টাকার অকটেনের আন্তর্জাতিক বাজার দাম ৫৫ টাকা।  একইভাবে বিশ্ববাজারে যে পেট্রোলের দাম ৫০ টাকা, দেশীয় বাজারে তা ৯৬ টাকা।  ৩৮ টাকার  ডিজেল ও কেরোসিনে নেয়া হচ্ছে ৬৮ টাকা। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ি জ্বালানি তেল তিনধাপে সর্বোচ্চ ২০ টাকা কমালেও লিটার প্রতি লাভ থাকবে অকটেন ২৪ টাকা, পেট্রল ২৬ টাকা এবং  ডিজেল ও কেরোসিন ১০ টাকা। যদিও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলছেন, পর্যায়ক্রমে দাম আরো কমানো হবে। এমন পরিস্থিতিতে বিইআরসি’কে পাশ কাটিয়ে এডহক ভিত্তিতে এমন সিদ্ধান্ত সুদূর প্রসারী কোনো ফল দেবে না বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। আর লাভের টাকা কোন খাতে যাবে বা কিভাবে খরচ করা হবে, তাও স্পষ্ট নয় বলে মনে করেন তারা। তারা আরো বলছেন, মূল্য স্থিতিশীল তহবিল থাকলে বাজারে নিয়ন্ত্রন যেমন থাকবে, তেমনি আপতকালিন সময়ে জ্বলানি সংগ্রহে ব্যাংক থেকে উচ্চ সুদে ঋনও নিতে হবে না।