ফেনীতে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা
প্রকাশিত : ০৭:১১ পিএম, ২৮ অক্টোবর ২০১৭ শনিবার
রোহিঙ্গাদের দেখতে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে ফেনীতে হামলার মুখে পড়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহর।
শনিবার বিকালে চৌদ্দগ্রাম পেরিয়ে ফেনী জেলার সীমানার শুরুতে মোহাম্মদ আলী বাজারে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
খালেদা জিয়ার গাড়ি পেরিয়ে যাওয়ার পর একদল যুবক ওই হামলা চালায়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় গণমাধ্যমসহ বহরের বেশ কয়েকটি গাড়ি।
একাত্তর, ডিবিসি, চ্যানেল আই ও বৈশাখী টেলিভিশনের গাড়ি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পরও কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী মারধরের শিকার হন। এতে একাত্তর টিভির এক কর্মী ভিডিও ধারণ করতে গেলে তিনিও মারধরের শিকার হন।
এছাড়া বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের গাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিকাল পৌনে ৫টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের গাড়িসহ বহরের ৩০টির মতো গাড়ি মোহাম্মদ আলী বাজার অতিক্রমের পরপরই ১৫-২০ যুবক লাঠিসোঁটা নিয়ে সড়কে উঠে আসে। কয়েকজনের হাতে আগ্নেয়াস্ত্রও দেখা গেছে। তাদের রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া যায়নি।
তবে ফেনীতে যাত্রা বিরতির সময় খালেদা জিয়ার সঙ্গে নেতা-কর্মীদের সাক্ষাৎ ঠেকাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সড়কে অবরোধ করে বলে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের অভিযোগ।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠানে বলেন, খালেদা জিয়া ‘উস্কানি দিয়ে গোলযোগ বাঁধাতে’ সড়ক পথে এই সফর করছেন।
ফেনীর বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়কে শনিবার আকস্মিক এই অবরোধ খালেদা জিয়ার সঙ্গে নেতা-কর্মীদের সাক্ষাৎ ঠেকাতে ক্ষমতাসীনরা করেছে বলে বিএনপির অভিযোগ।
চট্টগ্রামমুখী খালেদা জিয়ার বহরে দেড় শতাধিক গাড়ি রয়েছে। ফেনী সার্কিট হাউসে ঘণ্টাখানেক যাত্রা বিরতি করে তিনি চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন বলে জানান বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস।
ফেনী সার্কিট হাউজে খালেদাকে স্বাগত জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, প্রচার সম্পাদক শহিদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ফেনী জেলা সভাপতি আবু তাহের, সাধারণ সম্পাদক জিয়াউদ্দিন মিস্টার, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সম্পাদক রেহানা আখতার রানু প্রমুখ।
চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে রাত কাটিয়ে রোববার বেলা ১১টায় সড়ক পথে কক্সবাজারে উদ্দেশে রওনা হবেন বিএনপি নেত্রী। কক্সবাজার সার্কিট হাউজে রাত কাটিয়ে সোমবার উখিয়ার বালুখালী, বোয়ালমারা ও জামতলী রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণের পরিকল্পনা রয়েছে তার।
শনিবার সকাল পৌনে ১১টায় ঢাকার গুলশানের বাসা থেকে রওনা হওয়ার সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা খালেদা জিয়ার সঙ্গে ছিলেন।
এ কর্মসূচি সফল করতে সরকারের সহযোগিতা চেয়ে ফখরুল সকালে বলেছিলেন, “আমরা আশা করি, পথিমধ্যে সরকারের সব ধরনের সহযোগিতা পাব। পুলিশ মহাপরিদর্শক আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন, তারা দেশনেত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন এবং তার সফর যাতে সুন্দরভাবে হয়, তাতে সহযোগিতা করবেন।”
বিএনপি মহাসচিব জানান, খালেদার এই সফরে ১০ হাজার রোহিঙ্গা পরিবারের মধ্যে ত্রাণ বিতরণের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
কেআই/ডব্লিউএন