স্বপ্নদলের ‘চিত্রাঙ্গদা’র সফল মঞ্চায়ন
প্রকাশিত : ১১:৫৪ এএম, ৩০ অক্টোবর ২০১৭ সোমবার
নাট্যসংগঠন স্বপ্নদলের দেশ-বিদেশে প্রশংসিত প্রযোজনা ‘চিত্রাঙ্গদা’-র মঞ্চায়ন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে নাটকটির প্রদর্শনী হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিরায়ত সৃষ্টি ‘চিত্রাঙ্গদা’-র গবেষণাগার নাট্যরীতিতে নির্দেশনা দিয়েছেন জাহিদ রিপন।
এদিন প্রযোজনাটির ৫৫তম প্রদর্শনী হয়। রবীন্দ্রনাথ মহাভারতের চিত্রাঙ্গদা-উপাখ্যান অবলম্বনে ১৮৯২-এ কাব্যনাট্যরপে এবং ১৯৩৬-এ নৃত্যনাট্যরূপে ‘চিত্রাঙ্গদা’ রচনা করেন। স্বপ্নদলের ‘চিত্রাঙ্গদা’ প্রযোজনাটি নির্মিত হয়েছে কাব্যনাট্য পান্ডুলিপি অবলম্বনে।
আধুনিক সময়ে মানবের অন্তর্দ্বন্দ্বের প্রতিচ্ছবিরূপে রচিত কাব্যনাট্য ‘চিত্রাঙ্গদা’র নাট্যকাহিনীতে উপস্থাপিত হয়- মহাবীর অর্জুন সত্যপালনের জন্য একযুগ ব্রহ্মচার্যব্রত গ্রহণ করে মণিপুর বনে এসেছেন। মণিপুর-রাজকন্যা চিত্রাঙ্গদা অর্জুনের প্রেমে উদ্বেলিত হলেও অর্জুন রূপহীন চিত্রাঙ্গদাকে প্রত্যাখ্যান করেন।
অপমানিত চিত্রাঙ্গদা প্রেমের দেবতা মদন এবং ‘যৌবনের দেবতা’ বসন্তের সহায়তায় এক বছরের জন্য অপরূপ সুন্দরীতে রূপান্তরিত হন। অর্জুন এবারে যথারীতি চিত্রাঙ্গদার প্রেমে পড়েন। কিন্তু অর্জুনকে লাভ করেও চিত্রাঙ্গদার অন্তর দ্বন্দ্বে ক্ষত-বিক্ষত হতে থাকে- অর্জুন প্রকৃতপক্ষে কাকে ভালোবাসেন, চিত্রাঙ্গদার বাহ্যিক রূপ নাকি তার প্রকৃত অস্তিত্বকে? এভাবে ‘চিত্রাঙ্গদা’ পৌরাণিক কাহিনীর আড়ালে যেন এ কালেরই নর-নারীর মনোদৈহিক সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং পাশাপাশি পারস্পরিক সম্মানাবস্থানের প্রেরণারূপে উপস্থাপিত হয়। একই সঙ্গে এতে প্রকাশিত হয় সেই অনিবার্য সত্য- বাহ্যিক রূপের চেয়ে অনেক বেশি মূল্যবান নারী-পুরুষের চরিত্রশক্তি।
‘চিত্রাঙ্গদা’ প্রযোজনার গ্রন্থিকরা হলেন সোনালী, জুয়েনা, শিশির, শ্যামল, রানা, জেবু, সুমাইয়া, সামাদ, তানিয়া, ঊষা, শাওন, অর্ক, সম্রাট, আলী, বিপুল, সুকুমার, অনিন্দ্য, বিমল প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, স্বপ্নদলের ‘চিত্রাঙ্গদা’ প্রযোজনাটি ২০১১-এ সার্ধশত রবীন্দ্রবর্ষ উপলক্ষে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষযক মন্ত্রণালয়ের অনুদানে নির্মিত হয়।
এসএ / এআর