বাল্যবিবাহ রোধে উচ্চ আদালতের স্বতঃস্ফূত রুল
প্রকাশিত : ০৭:৪৭ পিএম, ৩০ অক্টোবর ২০১৭ সোমবার
বাল্যবিবাহ রোধে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল দিয়েছেন উচ্চ আদালত। রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে, প্রতিটি বাল্যবিবাহের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষেত্রে চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার এবং পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কমিশনাররা কেন দায়ী থাকবেন না। সেই সাথে জনপ্রতিনিধি হিসেবে প্রতিটি বাল্যবিবাহ নিজ নিজ এলাকায় সম্পন্ন হলে তাদের (স্থানীয় জনপ্রতিনিধি) বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং পদচ্যুতির আদেশ কেন দেওয়া হবে না-তা রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত এ রুল জারি করেন।
জনপ্রশাসন সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, আইনসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, সমাজকল্যাণ সচিব, নারী ও শিশু বিষয়ক সচিবকে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এই আদেশের অনুলিপি সব জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে পাঠানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালত বলেন, ‘জনপ্রতিনিধিরা বাল্যবিবাহ বন্ধে ভূমিকা রাখবেন না, তা হতে পারে না। প্রতিটি বাড়িতে কার হাড়িতে কী রান্না হচ্ছে, এটা জনপ্রতিনিধিরা ভালো করে জানেন। জনপ্রতিনিধিদের নিজ নিজ এলাকার এ ধরনের বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটলে তারা দায়ী হবেন। জনপ্রতিনিধি হবেন, দায়িত্ব নেবেন না, তা হবে না।’
গত ২৮ অক্টোবর একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত ‘২৪ ঘণ্টায় আট বাল্যবিবাহ বন্ধ’ শীর্ষক প্রতিবেদন নজরে নিয়ে আদালত এ আদেশ দেন।
এমআর/ডব্লিউএন