ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

পানামা পেপারস কেলেঙ্কারি , দেশবাসীর বিক্ষোভে আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ

প্রকাশিত : ১২:৫৭ পিএম, ৬ এপ্রিল ২০১৬ বুধবার | আপডেট: ০৭:১৫ পিএম, ৬ এপ্রিল ২০১৬ বুধবার

পানামা পেপারস নিয়ে তোলপাড় চলছেই। অর্থ পাচারের ঘটনায় ফেঁসে যাচ্ছেন বিশ্বের বহু রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। একই সাথে প্রশ্ন উঠেছে এসব রিপোর্টের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে। রিপোর্ট ধরে নিউইয়র্ক টাইমস, টেলিগ্রাফের মতো গণমাধ্যমে পুতিনের অর্থ কেলেঙ্কারিকে ফলাও করে প্রচার করায় এবং যুক্তরাষ্ট্রের কারও নাম না থাকায়, একে ষড়যন্ত্র বলেছে রাশিয়া ও চীন। বাবার অর্থপাচারের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী। অন্যান্য বিশ্ব নেতারাও এসবের সঠিক তদন্ত চেয়েছেন। স্মরণকালের সবচেয়ে বড় হুইসেলব্লোয়ার বলা হতো উইকিলিক্সকে। কিন্তু, এবার সেই গণ্ডী ছাড়িয়ে গেছে পানামা পেপার্স। তাদের ফাঁস করা রিপোর্টের জের ধরে কেলেঙ্কারির ঘটনা পদ থেকে নামিয়েছে আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সিগমুন্ডুর গুনলাগসনকে। যাদের নাম এসেছে এসব রিপোর্টে, তাদের কেউই আর চাপমুক্ত নন। বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের বাবা ব্রিটেনে কর ফাঁকি দিয়ে ৩০ বছর ধরে বিদেশে অর্থ রেখেছিলেন। এ ঘটনা এখন বিরোধী দলের কাছে রীতিমতো মারনাস্ত্র। যদিও বিষয়টিকে নিতান্ত নিজের বলে জানান তিনি। একইভাবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বলিউড অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন ও ঐশ্বরিয়া রায়। ফাঁস হওয়া এক কোটি ১০ লাখ নথিতে এখন পর্যন্ত ১২ বিশ্বনেতার নাম এসেছে। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আর তারকা আছেন ১২৮ জন। আছে নামজাদা বহু প্রতিষ্ঠান। তাই গুরুত্ব দিয়ে নথিগুলো তদন্তের কথা বলছেন বিশ্ব নেতারা। এভাবে একদিকে যখন ভীষণ বেকায়দায় প্রভাবশালীরা, তখন প্রশ্ন পিছু ছাড়ছে না পানামা পেপারসের রিপোর্টের সত্যতা নিয়েও। নথিতে যুক্তরাষ্ট্রের রাঘব বোয়ালদের অর্থ কেলেঙ্কারির তেমন তথ্য নেই। উল্টো নিউইয়র্ক টাইমস, গার্ডিয়ানসহ গণমাধ্যমগুলোতে পুতিনের কেলেঙ্কারীকে ফলাও করে প্রচার করা হচ্ছে। তা একে ষড়যন্ত্র বলছে রাশিয়া ও চীন। নথিতে বাংলাদেশের নামও উঠে এসেছে। ২০১৩ সালের এক প্রতিবেদন অনুযায়ি, বিশ্ব পরিসরে অর্থপাচার হয়ে যাচ্ছে এমন ১৫০টি উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে ২৬তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। আর গেলো এক দশকে পাচার হয়েছে ৪ লাখ ৩ হাজার ৫৬২ কোটি টাকা। আগামী মে মাসে যেসব নথি ফাঁস হবে সেখানে আরো পরিস্কার ভাবে বাংলাদেশীদের কর ফাকি কিংবা অর্থ পাচারের বিষয়টি উঠে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে গোপন নথি ফাঁস হওয়ার ব্যাপারে কিছুই জানা নেই বলে মন্তব্য করেছে মোসাক ফনসেকা কর্র্তৃপক্ষ। বিদেশি সার্ভার থেকে তাদের প্রতিষ্ঠানে হ্যাক করা হয়েছে বলে দাবি তাদের।