আগামী বছর ৩ লাখ নতুন অভিবাসী নেবে কানাডা
প্রকাশিত : ১০:৪১ পিএম, ৩০ অক্টোবর ২০১৭ সোমবার | আপডেট: ০৬:১৯ পিএম, ২৫ নভেম্বর ২০১৭ শনিবার
নতুন করে আরো ৩ লাখ অভিবাসী নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে কানাডা। এ লক্ষ্যে আগামী সপ্তাহে হাউজ অব কমন্সে নতুন বছরের অভিবাসী লক্ষ্যমাত্রা সম্বলিত সরকারের অভিবাসী পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হবে। তাতে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে অভিবাসী লক্ষ্যমাত্রার চূড়ান্ত হিসাব প্রকাশ করা হবে বলে জানা গেছে।
সিবিসি রেডিওকে কানাডার ইমিগ্রেশন ও সিটিজেনশীপ মন্ত্রী আহমেদ হোসেন বলেছেন, কানাডা সরকার আগামী বছরে কম করে হলেও চলতি বছরের সমপরিমান নতুন অভিবাসীকে স্বাগত জানাবে। চলতি ২০১৭ সালের জন্য কানাডার অভিবাসী লক্ষ্যমাত্রা আছে ৩ লাখ।
কানাডার বিশিষ্ট ইমিগ্রেশন কনসালট্যন্ট, আমাজান ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস এর প্রধান ওয়াজির হোসেন মুরাদ এ প্রসঙ্গে বলেন, সরকারের এই পরিকল্পনাকে আমরা স্বাগত জানাই। যদিও এই সংখ্যাটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জন্য, বাংলাদেশ থেকে যারা কানাডায় অভিবাসী হতে চান- তাদের জন্যও এটি সুসংবাদ। কেননা, অভিবাসী গ্রহণের সংখ্যা বেশি হলে বেশি সংখ্যক বাংলাদেশির জন্য সুযোগ তৈরি হয়।
ইমিগ্রেশন কনসালট্যান্ট ওয়াজির হোসেন মুরাদ বলেন, বাংলাদেশে বিপুল সংখ্যক দক্ষ ও উচ্চ শিক্ষিত মানুষ কানাডায় অভিবাসী হতে চান। যোগ্যতার প্রমান দিয়েই তারা কানাডা সরকারের উদার অভিবাসন নীতিমালার সুযোগ নিতে পারবেন বলে আমি মনে করি।
ইমিগ্রেশন মন্ত্রী আহমেদ হোসেন বলেন, বর্তমানের লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ নতুন অভিবাসীকে স্বাগত জানানো সরকারের জন্য স্বাভাবিক সংখ্যা। সরকার এর নীচে নামবে না। বরং ২০১৮ সালে এটি বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে সরকারের।
তিনি বলেন, কানাডীয়ানদের তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আসার আকাঙ্খা এবং বিভিন্ন কোম্পানির শ্রম চাহিদা পূরণের কথা বিবেচনা করে সরকার অভিবাসী সংখ্যা ২ লাখ ৬০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ করেছে।
ইমিগ্রেশন মন্ত্রী জানান, তিনি গত এপ্রিল থেকে অভিবাসন নিয়ে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সঙ্গে আলোচনা পরামর্শ করে আসছেন। এই সব আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে নতুন বছরের জন্য অভিবাসীর সংখ্যা নির্ধারণ। একই সাথে কোন ক্যাটাগরিতে কি পরিমান অভিবাসী আনা হবে তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। তিনি জানান, বিভিন্ন স্তর থেকে পাওয়া সুপারিশের আলোকের নতুন আভিবাসী পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে সেটি হাউজ অব কমন্সে পেশ করা হবে।
তিনি জানান, আগামী বছরে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক অভিবাসী নেওয়া হবে ইকোনোমিক ক্লাশে। কারন এই ক্যাটাগরিতে অভিবাসীর চাহিদা সবচেয়ে বেশি। তার পর পরই থাকবে ফ্যামিলি ক্লাশ।
সূত্র : নতুনদেশ।