ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

শীর্ষ ব্যক্তিদের বাসভবনে বিমান হামলার পরিকল্পনা ছিল জঙ্গিদের

প্রকাশিত : ১০:২৬ পিএম, ৩১ অক্টোবর ২০১৭ মঙ্গলবার | আপডেট: ১০:৩০ পিএম, ৩১ অক্টোবর ২০১৭ মঙ্গলবার

সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিদের বাসভবনে বিমান হামলার পরিকল্পনা ছিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফার্স্ট অফিসার সাব্বির এমামসহ চার জঙ্গির। বিমানের যাত্রীদের জিম্মি করে মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনাও ছিল সাব্বিরের

মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান এসব তথ্য জানান।

এর আগে সোমবার দিবাগত রাত ২টা থেকে মঙ্গলবার বেলা ১১টা পর্যন্ত রাজধানীর মিরপুরের দারুস সালামের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাব্বির বিমানের ফার্স্ট অফিসার হলেও গত মাসে দারুস সালাম এলাকায় র‌্যাবের অভিযানের সময় নিহত জঙ্গি আবদুল্লাহর ‘সহযোগী’ ছিলেন।

গ্রেপ্তার হওয়া অন্য তিনজন হলেন জঙ্গি আবদুল্লাহ যে বাসায় ভাড়া থাকতেন সেই বাড়ির মালিক হাবিবুল্লাহ বাহার আজাদের স্ত্রী ও সাব্বিরের মা সুলতানা পারভিন, পারভিনের আত্মীয় আসিফুর রহমান ও আলম।

মুফতি মাহমুদ খান বলেন, ২০০৯ সালে বাংলাদেশ ফ্লাইং একাডেমি থেকে উড়োজাহাজ চালানোর প্রশিক্ষণ নেন সাব্বির। ২০১০ সালে থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত রিজেন্ট এয়ারওয়েজে চাকরি করেন তিনি। ওই বছরই বিমানের পাইলটের চাকরি নেন।

সাব্বির বিমানের ফার্স্ট অফিসার হিসেবে বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজ চালাতেন। গত ৩০ অক্টোবর ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করেন। জঙ্গি আবদুল্লাহর সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা ছিল সাব্বিরের। নিহত জঙ্গি সারোয়ার জাহানের কাছ থেকে তিনি বায়াত গ্রহণ করেন। হোলি আর্টিজানে হামলার আগে ও পরে নাশকতার পরিকল্পনা ছিল তার সাব্বিরের। এ অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

মুফতি বলেন, সাব্বির জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন যে, বিমান চালিয়ে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিদের বাসভবনে আঘাতের পরিকল্পনা ছিল তার। পাশাপাশি বিমানের যাত্রীদের জিম্মি করে মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনাও করেন তিনি।

তিনি বলেন, সম্প্রতি ইউরোপে গাড়ি ও ট্রাক চালিয়ে যে ধরনের নাশকতা চালিয়েছে জঙ্গিরা, এখানেও একই ধরনের ছক আঁকছিল তারা।

রাজধানীর দারুস সালামে গত ৫ সেপ্টেম্বরে র‌্যাবের অভিযান পরিচালনার সময় বিস্ফোরণে নিহত হয় জঙ্গি নেতা আবদুল্লাহ, তার দুই স্ত্রী, দুই সন্তান ও দুই সহযোগী। র‌্যাবের তদন্তে বেরিয়ে আসে, যে বাড়িতে আবদুল্লাহ ভাড়া থাকতেন সেই বাড়ির মালিক সুলতানা পারভিন জঙ্গি তৎপরতায় জড়িত।

র‌্যাব জানায়, ওই বাড়ির ছাদে বসে বিভিন্ন সময় জঙ্গি নেতা সারোয়ারের সঙ্গে আবদুল্লাহ, সুলতানা পারভিন, সাব্বির এমাম সাব্বির, আসিফুর রহমান আসিফ ও আলম বর্তমান সরকারের শীর্ষ ব্যক্তিদের ওপর কীভাবে হামলা করা হবে তার পরিকল্পনা করত।

 

আর