ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৬ জানুয়ারি ২০২৫,   মাঘ ২ ১৪৩১

বিশ্বজিৎ হত্যা : হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

প্রকাশিত : ০২:৫৪ পিএম, ১ নভেম্বর ২০১৭ বুধবার

রাজধানীর পুরান ঢাকায় আলোচিত বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স আপিলের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করা হয়েছে। আজ বুধবার সকালে ৮৬ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন হাইকোর্ট।

এর আগে গত ৬ আগস্ট দেওয়া রায়ে বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ দুই জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখেন। আর ২১ আসামির মধ্যে চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও চারজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।  এ মামলা থেকে যে সব আসামিরা পলাতক (১১ আসামি) রয়েছেন তাদের সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেননি হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে ওই রায়ে বিশ্বজিৎ হত্যার পর তার মরদেহের সুরতহালকারী সূত্রাপুর থানার এসআই জাহিদুল হক ও ময়না তদন্তকারী চিকিৎসক ডা. মাকসুদুর রহমান বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নজিবুর রহমান। আসামিদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী, এস এম শাহজাহান, লুতফর রহমান মন্ডল, সৈয়দ আলী মোকাররম, সৈয়দ শাহ আলম, মো. আব্দুস সালাম, মো. ইসা, সৈয়দ মাহমুদুল আহসান। পলাতক আসামিদের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী ছিলেন মোমতাজ বেগম।

রায়ে তদন্ত করে পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) এসআই জাহিদের বিরুদ্ধে এবং স্বাস্থ্যসচিব ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলকে (বিএমডিসি) ডা. মাকসুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। তাদের বিরুদ্ধে কি কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে- সে বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদকে দায়িত্ব দেন হাইকোর্ট।

অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি হাতে পেয়েছি। তবে তদন্তে গাফিলতি ছিলো কি-না- সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে সময়ে সময়ে আদালতকে অবহিত করে প্রতিবেদন দেবো।

বিচারিক আদালতের রায়ে ফাঁসির আদেশ পাওয়া ৮ জনের মধ্যে রফিকুল ইসলাম শাকিল ও রাজন তালুকদারের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। তাদের মধ্যে শাকিল কারাগারে থাকলেও রাজন পলাতক রয়েছেন। অন্য ছয়জনের মধ্যে মাহফুজুর রহমান নাহিদ, ইমদাদুল হক এমদাদ, জিএম রাশেদুজ্জামান শাওন ও মীর মোহাম্মদ নূরে আলম লিমনের সর্বোচ্চ সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এদের মধ্যে লিমন পলাতক থাকলেও অন্য তিনজন কারাগারে রয়েছেন।

খালাসপ্রাপ্তদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম সাইফুল ও কাইয়ূম মিয়া টিপু বিচারিক আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ছিলেন। আর গোলাম মোস্তফা মোস্তফা ও এ এইচ এম কিবরিয়াকে দেওয়া হয়েছিল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

রায়ে হাইকোর্ট জানান, যে সব আসামিরা পলাতক রয়েছেন তারা গ্রেফতার হলে বা আত্মসমর্পণ করলে তাদের বিষয়ে পরবর্তী বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু হবে। আসামিরা, এ মামলায় আটটি আপিল ও সাতটি জেল আপিল করেন। হাইকোর্ট এসব আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি একসঙ্গে নিয়ে রায় দেন।

 

/আর / এআর