ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৬ জানুয়ারি ২০২৫,   মাঘ ২ ১৪৩১

দুর্নীতি মামলায় স্থায়ী জামিনের আবেদন খালেদা জিয়ার

প্রকাশিত : ০১:৩৬ পিএম, ২ নভেম্বর ২০১৭ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৪:০৭ পিএম, ২ নভেম্বর ২০১৭ বৃহস্পতিবার

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির দুই মামলায় স্থায়ী জামিনের আবেদন করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকার বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে হাজির হন তিনি।


আদালতে হাজির হওয়ার পর তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া জামিনের আবেদন করেন। এর আগে ২৬ অক্টোবর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে আদালতে বক্তব্য উপস্থাপনের সময় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন খালেদা জিয়া। নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আদালতে তিনি বলেন, `এ মামলা ভুয়া, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।`


ওই দিন প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসন। এরপর খালেদা জিয়া পরবর্তী সময়ে বাকি বক্তব্য রাখার অনুমতি চাইলে আদালত তা মঞ্জুর করে ২ নভেম্বর শুনানির পরবর্তী দিন ঠিক করেন।


এর আগে গত ১৯ অক্টোবর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন চান খালেদা জিয়া। পরে জামিন আবেদনের শুনানি শেষে আদালত এক লাখ টাকা মুচলেকায় তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। ভবিষ্যতে মামলা চলাকালে খালেদা জিয়া আবারও বিদেশে যেতে চাইলে তাকে আদালতের অনুমতি নিতে হবে বলে জানান বিচারক।


এই দুই মামলার শুনানিতে গত ১২ অক্টোবর হাজির না হওয়ায় একই আদালত খালেদা জিয়ার জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। তখন তিনি বিদেশে ছিলেন।


জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।


২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক হারুন-অর-রশিদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন—খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী (পলাতক), হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।


এ ছাড়া জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুদক।


২০১০ সালের ৫ আগস্ট খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক হারুন আর রশিদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।


মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন—মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।
/ এআর /