ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

সংঘাতের উস্কানি দিয়ে সমঝোতা হয় না: কাদের

প্রকাশিত : ০৪:৪৯ পিএম, ২ নভেম্বর ২০১৭ বৃহস্পতিবার

ফেনীতে বিএনপি চেয়ারপারসনের গাড়িবহরে হামলার ঘটনাকে সাজানো বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এছাড়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘আমরা সংঘাত চাই না, সমঝোতা চাই’-এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের সংঘাতের উস্কানি দিয়ে, সমঝোতার পরিবেশ সৃষ্টি হয় না মন্তব্য করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে দলের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি আয়োজিত ‘নির্বাচন কমিশনে আওয়ামী লীগের ১১ দফা, জনগণের প্রস্তাব’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব, আপনাদের মুখের সংলাপের কথা ও মনের কথার যোজন যোজন দূরত্ব। আপনারা যখন সমঝোতার কথা বলেন তখন আমাদের ভাবতে হয়, এটা কি আপনাদের মনের কথা, নাকি মুখের কথা।

তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক দলগুলোর মধ্যে একটি কাজের সমঝোতা আমরা চেয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী গণভবনে বেগম জিয়াকে ডেকেছিলেন। এরপরও আপনার ছেলের মৃত্যুর পর (খালেদা জিয়া ছেলে আরাফাত রহমান কোকো) সমবেদনা জানতে আপনার বাড়িতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেদিন আপনারা যে আচরণ করেছেন... যারা করে তারাতো সমঝোতায় বিশ্বাস করে না। এ দরজা কী করে খুলবো তা আপনারা ভাবুন। 

নির্বাচন কমিশনের কাছে নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের কাছে আমরা কিছু চাই না। আমাদের ১১ দফায় আমরা পরিষ্কারভাবে বলেছি- স্বাধীন কর্তৃত্বপূর্ণ নির্বাচনের জন্য আমরা নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করবো। তাদের কোনও দলের পক্ষ নেওয়ার প্রয়োজন নেই। তারা আওয়ামী লীগ কিংবা বিএনপির পক্ষ কেন নেবে?

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন কোনও দলীয় বক্তব্য নিয়ে রাজনীতি চর্চা করে, নিজেদের ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করুক, তা আমরা চাই না। কিন্তু বিএনপি এমন একটি নির্বাচন কমিশন চায়, যেন তারা যেনতেনভাবে ক্ষমতায় আসতে পারে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের গাড়িবহরে হামলার আসল খবর বের হয়েছে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, থলের বিড়াল অবশেষে মিঁউ ডেকেছে। গাড়ি পোড়ানো তো বিএনপির পুরনো অভ্যাস। এটা আওয়ামী লীগের ট্র্যাক রেকর্ডে নেই। পরিকল্পিতভাবে রং সাইডে বাস রাখা হয়েছিল এবং পরিকল্পিতভাবে হামলার নাটক করেছে। তা পুলিশের রিপোর্টেই এসেছে।

এ ঘটনায় দুই-একটি পত্রিকার রিপোর্টের সমালোচনা করে তিনি বলেন, পত্রিকা আমাদের বিরুদ্ধে নেমেছে। তারা বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে আদাজল খেয়ে নেমেছে। ঠিক আছে, তারা তা করতেই পারে। তারা কোনও দলকে সমর্থন করতেই পারে। কিন্তু রাতকে দিন, দিনকে রাত কিংবা তিলকে তাল বানানো বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা নয়। ফেনীর ঘটনাকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে আওয়ামী লীগের ওপর দায় চাপানো হয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা চাই, বিএনপি নির্বাচনে আসুক। নির্বাচনের মাধ্যমে তারা যে জনপ্রিয়তার দাবি করতে চাচ্ছে, তা যাচাই করুক।

সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলাম, নিরপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল অব. একে মোহাম্মদ আলী শিকদার, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মমতাজউদ্দিন আহমেদ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এবং একুশে টেলিভিশনের সিইও ও প্রধান সম্পাদক মনজুরুল আহসান বুলবুল, মেজর জেনারেল (অব.) আবদুর রশীদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন দলের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম।

আরকে//