ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ৩ ১৪৩১

নাফ সাঁতরে আবারও আসলো ১৯ রোহিঙ্গা

জাহাঙ্গীর আলম, টেকনাফ থেকে :

প্রকাশিত : ১০:৪৩ পিএম, ৩ নভেম্বর ২০১৭ শুক্রবার

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নৃসংশতা থেকে মুক্তি পেতে টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ দিয়ে প্রাণ বাঁচাতে আবারো নাফ নদী সাঁতরে বাংলাদেশে এসেছেন ১৯ রোহিঙ্গা। তারা সবাই প্লাস্টিক জার ধরে সাঁতরে নাফ নদী পেরিয়ে এসেছেন।

শুক্রবার (৩ নভেম্বর) বিকাল ৪টার দিকে শাহপরীরদ্বীপ জেটি ঘাট দিয়ে তারা সাঁতরে কুলে উঠেন। এসময় শাহপরীরদ্বীপ বিওপির বিজিবি সদস্যরা তাদেরকে হেফাজতে নেন। বিজিবি জানিয়েছে, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সাঁতরে আসা ১৯ রোহিঙ্গার সবাই কিশোর ও যুবক। তাদের বয়স ১৮ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে।

রোহিঙ্গা যুবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাখাইনের বুচিডং-পুইমালী এলাকা থেকে স্বপরিবারে এসে নাফ নদী তীরবর্তী দামনখালী এলাকায় অবস্থান করছিলেন তারা। এর আগে তারা প্রায় ১০ দিন ধরে বাংলাদেশে পালিয়ে আসার অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু কোনো নৌকা না পাওয়ায় আসতে পারছিলেন না। ইতোমধ্যে রাতের আঁধারে কয়েকবার দালালদের নৌকা সেখানে গেলেও অতিরিক্ত টাকা চাওয়ায় তারা আসতে পারেননি। নদী সাঁতরে আসতে তাদের কোনো অসুবিধা হয়নি।

বর্ডার এখনও খোলা রয়েছে এ সংবাদ তারা জানতে পেরে সাহস করে প্লাস্টিক জারে ভর করে সাঁতার শুরু করেন। প্রায় ৪ ঘন্টার মতো সাঁতার কাটতে হয়েছে বলে জানান তারা। তাদের পরিবারের সদস্যরা ওপারে দামনখালী এলাকায় তাবু গেড়ে অবস্থান করছেন। সেখানে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর কিছু খাদ্য সহায়তা দিয়েছে বলে জানান ওই যুবকরা।

গ্রাম থেকে বের হতে না পারা, কোনো কাজ কর্ম করতে না পারার কারণে আয় রোজগার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের গ্রামে খাদ্য সংকট দেখা দেয়। ফলে তারা গ্রাম ছাড়তে বাধ্য হন। তার উপর সম্প্রতি মিয়ানমার সরকারের এনবিসি কার্ড রোহিঙ্গাদের মাঝে আতংক ছড়িয়েছে বলে জানান তারা।

পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা হচ্ছেন বুচিদং পুইমালী এলাকার আবদুল্লাহ, মো. আয়াজ, জাহেদ, নজির আহমদ, জহির আহমদ, মো. আয়ুব, রাহামত উল্লাহ, মো. নুর, সিরাজুল ইসলাম, আবদু মোনাফ, আজিজুর রহমান, আবু ছৈয়দ, নুর কবির, পৈয়জু আলম, আনোয়ার খালেদ, মো. আয়ুব, মো. নুর, মো. আয়াজ ও নবি হোসন।

প্লাস্টিক জার ধরে এর আগেও কয়েক দফায় ২৩ জনের মতো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন।

জেডআই/ডব্লিউএন