কাতালোনিয়ার স্বাধীনতাকামী নেতা পুজদেমনের আত্মসমর্পণ
প্রকাশিত : ১২:০১ এএম, ৬ নভেম্বর ২০১৭ সোমবার
কাতালোনিয়ার স্বাধীনতাকামী নেতা কার্লোস পুজদেমন আত্মসমর্পণ করেছেন। স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার পর স্পেনের প্রেসিডেন্টের রোষের শিকার হয়ে তিনি বেলজিয়ামে আশ্রয় নিয়েছিলেন। রোববার পুজদেমন স্বাধীনতাপন্থি চার নেতাকে নিয়ে ব্রাসেলসে আত্মসমর্পণ করেছেন।
বিবিসির খবরে বলা হয়, ওই পাঁচ কাতালান নেতা স্থানীয় সময় রোববার সকালে বেলজিয়ামের ফেডারেল পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। সে সময় তাদের সঙ্গে তাদের আইনজীবীরাও ছিলেন।
বেলজিয়ামের প্রসিকিউটরের দপ্তরের মুখপাত্রের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, সোমবার সকালে আদালতে তোলার পর বিচারক সিদ্ধান্ত নেবেন, স্প্যানিশ আদালতের দায়ের করা ইউরোপীয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় ওই পাঁচজনকে ফেরত পাঠানো হবে, নাকি জামিনে মুক্তি দেওয়া হবে।
স্বাধীনতা ঘোষণার নামে বিদ্রোহ, রাষ্ট্রদ্রোহ ও রাষ্ট্রীয় অর্থ অপচয়ের অভিযোগে স্পেনের একটি আদালত পুজদেমনসহ স্বাধীনতাকামী পাঁচ কাতালান নেতার বিরুদ্ধে গত শুক্রবার ইউরোপীয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
স্পেনের স্বায়ত্তশাসিত এলাকা কাতালোনিয়ার আঞ্চলিক সরকারের প্রেসিডেন্ট ছিলেন পুজদেমন। বাকি চারজন হলেন তার সরকারের কৃষিমন্ত্রী মেরিটজেল সেরেট, স্বাস্থ্যমন্ত্রী এন্টনি কমিন, সংস্কৃতিমন্ত্রী লুইজ পুইজ এবং শিক্ষামন্ত্রী ক্লারা পনসাতি।
কাতালোনিয়ার পার্লামেন্টে গত ২৭ অক্টোবর স্বাধীতার ঘোষণা আসার পর আঞ্চলিক সরকার ভেঙে দিয়ে সেখানে কেন্দ্রের শাসন জারি করে স্পেন। সেই সঙ্গে পুজদেমন ও তার মন্ত্রীদের বরখাস্ত করা হয়। এরপর স্বাধীনতাপন্থি এই নেতাদের বিরুদ্ধে আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়। কিন্তু তার আগেই চার সহযোগীকে নিয়ে বেলজিয়ামে চলে যান পুজদেমন।
আদালতের সমনে হাজির না হওয়ায় গত শুক্রবার স্পেনের একজন বিচারক ওই পাঁচজনের বিরুদ্ধে ইউরোপীয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
পুজদেমন এর আগে বলেছিলেন, সুবিচারের নিশ্চয়তা না পেলে তিনি স্পেনে ফিরতে চান না। স্বাধীনতার দাবি আরও জোরদার করতে স্বাধীনতাপন্থি দলগুলোকে একজোট হয়ে ডিসেম্বরের আঞ্চলিক নির্বাচনে অংশ নেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি।
ব্রাসেলসের প্রসিকিউটরের দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, “আমাদের হাতে ২৪ ঘণ্টা সময় আছে আদালতে তোলার জন্য। বিচারকই সিদ্ধান্ত নেবেন, তাদের নিয়ে কী করা হবে।”
তাদেরকে গ্রেপ্তারের জন্য জারি করা ইউরোপীয় পরোয়ানা প্রত্যাখ্যান করা হবে নাকি তাদেরকে শর্তসাপেক্ষে কিংবা জামিনে মুক্তি দেওয়া হবে সিদ্ধান্ত হবে সে ব্যাপারে।
বিচারক পুজদেমন ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তার করার সিদ্ধান্ত নিলে সর্বোচ্চ ৬০ দিনের মধ্যে তাদের স্পেন সরকারের কাছে হস্তান্তর করতে হবে। তারা এর বিরুদ্ধে আইনগতভাবে কোনও পদক্ষেপ না নিলে হস্তান্তর প্রক্রিয়া আরও তাড়াতাড়ি সম্পন্ন হতে পারে।