টেক্সাসে চার্চে ঢুকে গুলি, নিহত ২৬
প্রকাশিত : ১০:৪৩ এএম, ৬ নভেম্বর ২০১৭ সোমবার | আপডেট: ১১:১০ এএম, ৬ নভেম্বর ২০১৭ সোমবার
নিউইয়র্কে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার সপ্তাহ না পেরোতেই আবারও রক্তাত্ত্ব হলো যুক্তরাষ্ট্র। এবার চার্চে ঢুকে অন্তত ২৬ জনকে গুলি করে হত্যা করেছে ডেভিন প্যাট্রিক ক্যালি নামের এক শ্বেতাঙ্গ। ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস শহরে । তবে, ঘটনার পরপরই প্যাট্রিক ক্যালি নিহত হয়েছে।
সুত্রের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, নিহতদের সবাই গির্জায় প্রার্থনা করতে এসেছিল । তাদের বেশিরভাগই শিশু। নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, সাদারল্যান্ড স্প্রিংসের চার্চটিতে অন্তত ৬০জন প্রার্থনাকারী ছিলেন। তাদের মধ্যে একজন গর্ভবতী নারীও ছিলেন। এদিকে হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এক প্রত্যক্ষদর্শী নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেন, ক্যালিকে স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে স্থানীয় গ্যাস স্টেশনে মিলিটারি পোশাক পরা অবস্থায় দেখা যায়। রাস্তা পার হয়ে গাড়ি থেকে নেমে চার্চের দিকে গুলি করতে করতে এর ভেতরে প্রবেশ করে । সেখানে এলোপাতাড়ি গুলি চালালে কমপক্ষে ২৬জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ২০ জন।
স্থানীয়রা জানায়, ক্যালি মিলিটারি স্টাইলে এ হামলা চালিয়েছে । হামলাকালে তার পরণে প্রোটেক্টিভ বেল্ট পড়া ছিল । সেনাসদস্যরা ব্যবহার করে, এ ধরণের একটি রাইফেল তিনি ব্যবহার করেছিলেন গোয়েন্দা সদস্যের দুজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে নিউইয়র্ক টাইমসকে জানান।
ক্যালি এর আগে নিউ ম্যাক্সিকোতে মার্কিন বিমান বাহিনীর সদস্য ছিলেন বলে ওই দুই সদস্য জানিয়েছেন। এদিকে হত্যার কারণ সম্পর্কে কিছুই জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি একটি সন্ত্রাস হামলা।
সূত্রটি আরো জানায়, হামলার পর ক্যালি চার্চ থেকে বের হয়ে একটি গাড়িতে করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তবে কিছুদূর যাওয়ার পর তাকে দুর্ঘটনা কবলিত একটি গাড়ি থেকে মৃত উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়রা বলছে, ক্যালিকে একব্যক্তি গুলি করলে গাড়িটি দুর্ঘটনা শিকার হয়। তবে হামলাকারী কারও গুলিতে নিহত হয়েছেন নাকি দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়েছে এ ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত নয় মার্কিন গোয়েন্দারা।
এদিকে এশিয়া সফররত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এরইমধ্যে টুইট বার্তায় বলেন, ‘ঈশ্বর সাদারল্যান্ড স্প্রিংসের মানুষদের সহায়ক হন। এফবিআই এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ঘটনাস্থলে আছে। আমি জাপান থেকেই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।’
সুত্র: নিইয়র্ক টাইমস
এমজে/এআর