ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

জাপানের নারীদের কাছে রোল মডেল ইভাঙ্কা

প্রকাশিত : ১২:৪৯ পিএম, ৭ নভেম্বর ২০১৭ মঙ্গলবার

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণার সময় থেকেই আলোচনায় রয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের কন্যা ইভাঙ্কা ট্রাম্প।

ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ধারণা করা হচ্ছিল ট্রাম্প প্রশাসনে বড় প্রভাব থাকবে ইভাঙ্কার। হয়েছেও তাই।

ইভাঙ্কা ট্রাম্প এখন তার পিতার একজন উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ট্রাম্প এবারই প্রথম এশিয়া সফর করছেন।

উত্তর কোরিয়াকে ঘিরে উত্তেজনার মধ্যেই প্রায় এগার দিনের এ সফরে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশ সফর করছেন তিনি।

তার সফরের আগেই টোকিও গিয়েছিলেন ইভাঙ্কা ট্রাম্প। অংশ নিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ কিছু অনুষ্ঠানে কথা বলেছেন ফ্যাশন, নারীর নিরাপত্তাসহ নানা ইস্যুতে।

কিন্তু ইভাঙ্কাকে কেমন দেখেছেন জাপানের নারীরা? ইভাঙ্কা ট্রাম্প বক্তব্য রাখছিলেন ওয়ার্ল্ড এসেম্বলি ফর উইমেন অনুষ্ঠানে। তিনি মূলত জাপানে গিয়েছিলেন তার পিতা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জাপান সফরের আগে।

অনেকে মনে করেন বাবা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একজন উপদেষ্টা হিসেবে সফরের প্রাক প্রস্তুতির বিষয়গুলো দেখভাল করতেই টোকিও গেছেন ইভাঙ্কা ট্রাম্প।

যেখানে একই সঙ্গে আলাদা কিছু কর্মসূচিতেও অংশ নিয়েছেন তিনি। যেখানে জাপানের বিভিন্ন শ্রেণীর নারীরা তাকে দেখার সুযোগ পেয়েছেন কাছ থেকেই,এদেরই একজন পেশায় একটি রেস্টুরেন্টের শেফ ও ম্যানেজার ইয়ুকি চিদুই।

তিনি বলছিলেন, ইভাঙ্কা ফ্যাশনের সঙ্গে রাজনীতির একটি ভারসাম্য করতে পারেন। যদিও আমি সম্পূর্ণ ভিন্ন অবস্থানে, তারপরেও তার জায়গায় আমি নিজেকে দেখতে পাই। যেমন ধরুন এখানে কাজের সময় আমি সাদা অ্যাপ্রোন পরি না বরং মেকআপ নেই। আমি সবসময় আমার সুশী বারকে ফ্যাশনেবল ও কাজের ক্ষেত্রে আনন্দের রাখতে চাই।

এক্ষেত্রে ফ্যাশন ও কাজের মধ্যে সমন্বয়ের ক্ষেত্রে ইভাঙ্কা আমার জন্য রোল মডেল হতে পারেন।

লেখক ও অভিনেত্রী মারি ইয়ামামাতোর কাছে অবশ্য ইভাঙ্কা ট্রাম্প কিছু দ্বিধাগ্রস্ত বৈশিষ্ট্যের।

তিনি বলছিলেন, আমি তাকে ও তার পিতাকে ভালোভাবেই লক্ষ্য করেছি। একজন নারীকে রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বা উঁচু পদে দেখা সবসময়ই চমৎকার।এবং তিনি কিভাবে সেখানে পৌঁছালেন সেটা একেবারেই গৌণ বিষয়। তিনি নির্বাচিত নন, এটাও কোনো বিষয় না।

শিল্পী মিহি ব্যারন আর কিছুদিন পরেই সন্তান জন্ম দেয়ার প্রহর গুনছেন। তাই বলে বন্ধ নেই ছবি আঁকার কাজ। নিজের স্টুডিওতে কাজ করতে করতে বলছিলেন যে ইভাঙ্কা সম্পর্কে আগে তেমন একটা ধারণা তার ছিলনা।

তিনি বলছিলেন, সত্যি কথা বলতে আমি ইভাঙ্কার সম্পর্কে জেনেছি তার জাপানে আসার খবর শোনার পর। আমি শুনেছি পরিবারের নাম যশ ভালোভাবেই ব্যবহার করছেন তিনি। এরপরেও আমি তাকে শ্রদ্ধা করি কারণ তিনি নিজের একটা ব্রান্ড ভ্যালু তৈরি করেছেন এবং দিন দিন সেটি বাড়ছে।

জাপানের বিভিন্ন পেশায় থাকা এসব নারীরা মনে করেন সামনের দিন গুলোতে বিশ্ব জুড়ে নতুন প্রজন্ম সবকিছুতেই নিয়ে নতুন নতুন ধারণা। সম্ভবত ইভাঙ্কা ট্রাম্প সে ধারারই প্রতিনিধিত্ব করতে শুরু করেছেন এখনই।

 

সূত্র : বিবিসি বাংলা

এমআর / এআর