‘সারা বছর আয়কর মেলার অপেক্ষায় থাকি’
তবিবুর রহমান
প্রকাশিত : ০৭:১২ পিএম, ৭ নভেম্বর ২০১৭ মঙ্গলবার
ঢাকাসহ সারাদেশে ৫৩টি জেলা, ২২টি উপজেলা (ভ্রাম্যমাণ) ৭৫টি স্পটে চলছে আয়কর মেলা। আজ মঙ্গলবার মেলার শেষদিন। করদাতা, সেবাগ্রহীদের পদচারণায় মেলা প্রাঙ্গন মুখর ছিল। এবারের মেলাতে করদাতাদের বাড়তি আকর্ষন যোগ করে স্মার্ট ইনকাম ট্যাক্স আইডি। যা দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে সংগ্রহ করছে করদাতারা।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্মাণাধীন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভবনে আরকর মেলায় কর জমা দিতে আসেন মোহাম্মাদপুরের বাসিন্দা ফৌজিয়া আহমেদ। পেশায় তিনি একজন শিক্ষিকা। এখন স্কুলগুলোতে জেএসসি পরীক্ষা চলছে। যেকারণে ফৌজিয়া আহমেদ নিজের স্কুলের কাজ শেষ করে মেলাতে এসেছেন। এসময় কথা হয় তিনি ইটিভি অনলাইনের সঙ্গে ।
তিনি জানান, গত আট বছর ধরে মেলায় এসে রিটার্ন দাখিলের পাশাপাশি কর জমা দেন। তিনি বলেন, মেলায় যে কোনো কাজ সহজেই করা যায়। কর অফিসে একজন পিয়নের সঙ্গেও কথা বলতে টাকা লাগে। কিন্তু এখানে বড় কর্মকর্তারা যে কোনো বিষয়ে সহযোগিতা করেন। এ জন্য সারা বছর আয়কর মেলার অপেক্ষায় থাকি। কর অফিসেও মেলার মতো সেবা চান তিনি।
মেলায় বিভিন্ন ধরনের বিড়ম্বনার কথা জানাতে চাইলে ফৌজিয়া আহমেদ বলেন, এবারের মেলায় তেমন বিড়ম্বনা পোহাতে হয়নি। স্কুলের কাজ শেষ করে মেলায় আসছি। কিছুক্ষণের মধ্যে কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি। কাজ শেষ হলে ইনকাম ট্যাক্স আইডি নিয়ে বাসায় চলে যাবে। মেলার সার্বিক বিষয় নিয়ে সন্তুষ্ট কি না জানাতে চাইলে তিনি বলেন, সার্বিক ব্যবস্থাপনা অনেক ভাল। হাতের কাছে রয়েছে ব্যাংককে বুথ। মেলাতে দেওয়া হচ্ছে ফ্রি চিকিৎসা।
এছাড়া শিক্ষার্থীদের জন্য চলছে আয়কর বিষয়ক প্রশিক্ষণ। আমার মনে হয় সার্বিক পরিবেশ ভাল।
অনলাইনে কর জমা দিতে পারতেন এতো কষ্ট করে মেলাতে কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখনও অনলাইন তেমন সেবাদান প্রদান করতে পারছে না এনবিআর। আর কিভাবে জমা দিতে হয় এটাও জানা নেই। যে কারণে মেলায় আসছি কর জমা দিতে।
নারীদের জন্য আলাদা সুবিধা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সব জায়গায় কেন আলাদা সুবিধার কথা ভাবব। এখানে নারী পুরুষের জন্য সময় ব্যবস্থা করছে কর্তৃপক্ষ। আমি মনে করি বাড়তি সুবিধা প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। তিনি আরও বলেন, এবার মেলার পরিধি বেড়েছে। এছাড়া প্রথমবারের মতো দেওয়া হচ্ছে ইনকাম ট্যাক্স আইডি কার্ড।
নিউমার্কেট থেকে কর দিতে আসা বেসরকারি চাকারীজীবী সুমাইয়া আক্তার বলেন, আমি এবারই আমি প্রথম কর দিতে এসেছি। মেলার সার্বিক ব্যবস্থাপনা ভাল। তবে অনলাইন সেবার মান বৃদ্ধি করলে করদাতাদের আগ্রহ বাড়বে। কর প্রদানে একটু দুর্ভোগ হলেও জমা দেওয়া পর একটু স্বস্তি অভুভব করছি।
বাড্ডার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, গত ৪ বছর ধরে মেলায় এসে কর দিয়ে থাকি। মেলায় কর জমা দিলে এক ছাদের নিচে সব সেবা পাওয়া যায়। একারণে মেলা ছাড়া অন্য কোনো সময় কর জমা দেই না। কোন ধরনের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এবার মেলা পরিধি বেড়েছে। যে কারণে প্রথম দিকে দুর্ভোগ কিছুটা কম আছে।
/ এআর /