সৌদি জোটের বিমান হামলা
ইয়েমেনে একই পরিবারের ১০ জনসহ নিহত ৩০
প্রকাশিত : ১০:৩৫ এএম, ৮ নভেম্বর ২০১৭ বুধবার | আপডেট: ১১:১৬ এএম, ৮ নভেম্বর ২০১৭ বুধবার
ইয়েমেনে সৌদি জোটের সিরিজ বিমান হামলায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছেন । এদের মধ্যে একই পরিবারের ১০ জন রয়েছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক ব্যাক্তি। ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে এই হামলা চালায় সৌদি জোট।
গত শনিবার হুতি বিদ্রোহীদের একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপনাস্ত্র হামলা রুখে দেয় সৌদি । হামলার পরপরই এর কড়া জবাব দেওয়ার হুশিয়ারি দেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আল জুবায়ের। এর আগে ইয়েমেনের সীমান্ত এলাকায় হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে এক সৌদি যুবরাজ নিহত হন।
হুতি বিদ্রোহী এক কর্মী হোসেইন আল বোকাতি আল জাজিরাকে বলেন, সানার হিজ্জা প্রদেশের হিরান গ্রামকে লক্ষ্য করে সৌদি জোট কমপক্ষে ১৬ টি বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ৩০ জন নিহত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় হুতি নেতা শেখ হামাদির বাড়ি লক্ষ্য করে মধ্যরাতে এ হামলা চালায় সৌদি। এতে শেখ হামাদিসহ তার পরিবারের ১০ জন সদস্য নিহত হয়েছেন।
হুতিদের পরিচালিত গণমাধ্যম আল মিসরা টেলিভিশনের বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানিয়েছে, এই হামলায় অন্তত ১০ জন চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত কর্মী নিহত হয়েছে। হাজ্জা এলাকাটি রাজধানী সানার নিকটে অবস্থিত ।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সাল থেকে ইয়েমেনে সংঘাত শুরু হয় । ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা সাবেক প্রেসিডেন্ট আলী আব্দুল্লাহ সালেহর অনুগত সৈনিকদের সাথে নিয়ে বর্তমান বর্তমান প্রেসিডেন্ট আবদু রাব্বু মনসুরকে হঠিয়ে ইয়েমেনের বেশিরভাগ অঞ্চল দখল করে নেয়।
এরপর ২০১৫ সাল থেকে সৌদি নেতৃত্বে আরবদেশগুলোর জোট ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের বিপক্ষে বিমান হামলা শুরু করে। তারা মনসুর হাদিকে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য হুতিদের বিরুদ্ধে এই হামলা চালাচ্ছে বলে দাবি করে আসছে।
এরপর থেকে ইয়েমেনে কমপক্ষে হুতি বিদ্রোহীসহ ১০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া কয়েক লাখ লোক গৃহহীন হয়েছেন। ২০১৫ সালের পর থেকে সেখানে ব্যাপক হারে কলেরা ছড়িয়ে পড়েছে ।এতে আক্রান্ত হয়ে হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছেন।
এমজে/ এআর