৫৪ লাখ ৬০ হাজার ডলার ফেরত দিলেও পার পাচ্ছেন না কিম অং
প্রকাশিত : ০৬:৪১ পিএম, ৭ এপ্রিল ২০১৬ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৬:৪১ পিএম, ৭ এপ্রিল ২০১৬ বৃহস্পতিবার
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে চুরি করা অর্থের ৫৪ লাখ ৬০ হাজার ডলার ফেরত দিলেও পার পাচ্ছেন না অভিযুক্ত ব্যবসায়ী কিম অং। আগামী ১৯ এপ্রিল দেশটির বিচার বিভাগের মুখোমুখি হতে হবে তাকে। অপরদিকে, অর্থ চুরির মধ্যস্থতাকারী রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংক কর্তৃপক্ষের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলারের মধ্যে ৩ কোটি ডলার ফেরত দেয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন এক সিনেটর।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনার পর থেকেই আলোচনায় বিতর্কিত ব্যবসায়ী কিম অং। ফিলিপাইনে সিনেট কমিটির শুনানিতে চাপের মুখে চুরি যাওয়া অর্থ ফেরত দেয়া শুরু করেন এই জাঙ্কেট অপারেটর। দুই দফায় ফেরত দেন ৫৪ লাখ ৬০ হাজার ডলার। তবুও পার পাচ্ছেন না অভিযুক্ত এই ব্যবসায়ী।
এবার দেশটির বিচার বিভাগের মুখোমুখি হতে হবে এই ধনকুবেরকে। আগামী ১৯শে এপ্রিল বিচার বিভাগের প্রাথমিক শুনানিতে কিমের সাথে অভিযুক্ত অপর ব্যবসায়ী ওয়াং শু’কেও ডাকা হয়েছে। দেশটির অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কর্তৃপক্ষ বলছে, ওয়াং শু’র কাছে ৫ কোটি ৯২ লাখ ডলার রয়েছে।
অর্থ চুরির ঘটনায় দায় এড়াতে পারছে না রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। কেননা, নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের নির্দেশনার পরও অর্থ ছাড় করেছে ব্যাংকটি।
ফিলিপাইনের সিনেটর একুইলিনো জানান, মায়া দেগুইতোর তথ্য মতে, নন পেমেন্ট নির্দেশনা মানা হলে অন্তত ৩ কোটি ডলার রাখা যেতো। তাই ব্যাংক কর্তৃপক্ষের এই অর্থ ফেরত দেয়া উচিত।
এদিকে, ফেরত আসা ৫৪ লাখ ৬০ হাজার ডলার বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দেয়ার জন্য ফিলিপাইনের আদালতের নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছে অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিল।