ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

নববর্ষের অনুষ্ঠানে নারী নির্যাতন মামলার তদন্ত শেষ হয়নি

প্রকাশিত : ১০:২৮ এএম, ৮ এপ্রিল ২০১৬ শুক্রবার | আপডেট: ০৪:২৮ পিএম, ৮ এপ্রিল ২০১৬ শুক্রবার

এক বছরেও শেষ হয়নি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলা নর্ববর্ষের অনুষ্ঠানে নারী নির্যাতন মামলার তদন্ত। চাঞ্চল্যকর এ মামলার পুরস্কার ঘোষিত ৮ আসামির একজন গ্রেপ্তার হলেও অন্যরা ধরাছোয়ার বাইরেই থেকে গেছে। শুরু থেকেই ঘটনার তদন্তে পুলিশ আন্তরিক ছিল না বলে অভিযোগ করেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। প্রতিবছরের মতো গত বছরও বাংলা নববর্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদালয় এলাকায় মানুষের ঢল নামে। তবে এত মানুষের ভিড় সামাল দিতে পুলিশের তেমন কোনো তৎপরতা ছিল না। আর এর সুযোগ নিয়ে বখাটে এই যুবকদের হাতে লাঞ্ছনার শিকার হন অনেক নারী। পুলিশের বসানো ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টা ২২ মিনিট পর্যন্ত ধারণ করা ভিডিও ফুটেজে এ রকম অন্তত ১০টি দৃশ্য ধরা পড়ে। পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে সিসি ক্যামেরার এসব ফুটেজ তদারকিও করা হয়। কিন্তু পুলিশ এই ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে দিয়েই যেন দায় শেষ করেছে। এদিন রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পুলিশের ১৩১টি সিসি ক্যামেরা বসানো ছিল। ঘটনার পরদিন এ ঘটনায় শাহবাগ থানার এক এসআই বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্তের দায়িত্ব পায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। কোনো সুরাহা না করে ২২ ডিসেম্বর আদালতে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে তারা। তবে ২৭ জানুয়ারি রাজধানীর চকবাজারের বাসিন্দা  মো. কামাল গ্রেপ্তার হলে মামলাটি পুনরুজ্জীবীত হয়। ঘটনার সাথে জড়িত একজনকে গ্রেপ্তারের দাবি করলেও পুলিশের শনাক্ত করা অন্য ৭ জন এখনও ধরাছোয়ার বাইরে। গ্রেপ্তারকৃত কামালসহ এদের প্রত্যেককে ধরিয়ে দিতে ১ লাখ টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা করেছিল। বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠানে নারী নির্যাতনের ঘটনায় পুলিশ দায় এড়াতে পারে না বলে মন্তব্য করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষক। ঘটনার সময় যারা প্রতিবাদ করেছিলেন, তাৎক্ষনিকভাবে জড়িতদের ধরিয়ে দিয়েছিলেন তদন্তের সময় তাদের পাত্তাই দেয়নি পুলিশ।