উখিয়ার উপকূলে ১২৫ রোহিঙ্গা উদ্ধার
শহিদুল ইসলাম
প্রকাশিত : ১০:০৭ পিএম, ১০ নভেম্বর ২০১৭ শুক্রবার
মিয়ানমার সেনাবাহিনী বাঙালি লেখা এনভিসি কার্ড হাতে ধরিয়ে দিয়ে নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে বলে জানিয়েছেন সম্প্রতি বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা। প্রতিদিন মিয়ানমার থেকে বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে নৌপথে রোহিঙ্গারা প্রবেশ করছে। পাশাপাশি কক্সবাজার টেকনাফ সড়ক হয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
সচেতনমহল বলছেন, সড়ক পথে রোহিঙ্গারা যাতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে যেতে না পারে তার জন্য কর্তব্যরত আইনশৃংখলা বাহিনীর নিরাপত্তা আরো জোরদার করা প্রয়োজন।
উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের রুপপতি উপকুলীয় এলাকায় শুক্রবার সকাল ১১টায় মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ১২৫ রোহিঙ্গা নারী পুরুষ উপকূলে এসেছে। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী রুপপতি গ্রামের মোহামদ মোস্তাক বলেন, `শুক্রবার সকালে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর রুপপতি এলাকায় একটি নৌকা বোঝাই মাছ ধরার ট্রলার উপকূলে ভিড়তে দেখি। সাথে সাথে ইনানী পুলিশকে খবর দিই। ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির এসআই বিবেক আনন্দ স্থানীয়দের সহায়তায় নৌকা থেকে ১২৫ জন রোহিঙ্গা নারী শিশু ও পুরুষকে উদ্ধার করেন। এদের মধ্যে পুরুষ ১৮ জন, মহিলা ৪০ জন এবং ৬৭ জন শিশু রয়েছে।`
এসআই বিবেক আনন্দ বলেন,`রোহিঙ্গা বোঝাই ট্রলারের মাঝি উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের সোনারপাড়া গ্রামের বাডু মাঝির ছেলে আবদুল মাজেদকে আটক করা হয়েছে।`
ঘটনার পরপরই উখিয়া সার্কেল চাইলাউ মারমা ও উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবুল খায়ের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। জালিয়াপালং ইউপি চেয়ারম্যান নুরুর আমিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, উদ্ধারকৃত রোহিঙ্গাদের খাদ্য ও মানবিক সহায়তা দিয়ে কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পে প্রেরণ করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উখিয়া সার্কেল) চাইলাউ মারমা বলেন, `উখিয়ার উপকূল রুপপতি থেকে উদ্ধারকৃত রোহিঙ্গাদের ইউএনএইচসিআর এর সহযোগিতায় কুতুপালং ক্যাম্পে হস্থান্তর করা হয়েছে।`
উল্লেখ্য, মিয়ানমারের রাখাইনে অত্যাচার উৎপীড়ন সহ্য করেও যারা বসবাস করছে তাদেরকে জোর করে বাঙালি লেখা ভেরিফিকেশন কার্ড ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যারা এসব কার্ড গ্রহণ করছে না তাদেরকে সেনা ক্যাম্পে ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এসব কারণে মূলত: রোহিঙ্গারা জীবনবাজি রেখে সাগর পথে পাড়ি জমাতে শুরু করেছে।
কেআই/ডব্লিউএন