ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

রোহিঙ্গা নারীদের গণধর্ষণ করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী : রাইটস ওয়াচ

প্রকাশিত : ০৪:৫৬ পিএম, ১৬ নভেম্বর ২০১৭ বৃহস্পতিবার

মিয়ানমারের নির্যাতিত রোহিঙ্গা নারীদের ব্যাপকভাবে গণধর্ষণ করেছে মিয়ানমারের সেনা জওয়ানরা। তাদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি শিশুরা। গত তিন মাসে রোহিঙ্গা নিধন অভিযানে এই নারকীয় গণধর্ষণ চালায় জওয়ানরা।

যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থ্যা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য ওঠে এসেছে। জাতিসংঘের বিশেষ রাষ্ট্রদূত (সংঘাতে যৌন হয়রানি বিষয়ক) প্রমিলা পাট্টেন বলেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নির্দেশে এই গণধর্ষণ কার্য্ক্রম পরিচালনা করেছে। শুধু তাই নয়, তারা নিজেরা রাখাইনকে ধর্ষণের ক্ষেত্র বানিয়ে ফেলেছে।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনী গত সোমবার এক তদন্ত প্রতিবেদনে দাবি করে, রাখাইন রাজ্যে কোন ধরণের ধর্ষন ও হত্যা হয়নি। শুধু তাই নয়, মিয়ানমারের সেনা নির্যাতন থেকে বাঁচতে রাখাইন রাজ্য থেকে ৬ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করার ঘটনাকেও তারা নাকচ করে দিয়েছে।

জাতিসংঘ ইতোমধ্যে মিয়ানমারের সেনা অভিযানকে জাতিগত নিধন অভিযান হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তবে মিয়ানমার সরকার জাতিসংঘসহ বিশ্বের অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে।

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ৫২ জন রোহিঙ্গা নারীর সাক্ষাতকার নিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ । তাদের মধ্যে ২৯ বলেছে তারা সেনাবাহিনীর দ্বারা ধর্ষিত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলেও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানায়।

হিউম্যান রাইটসের জরুরি নারী অধিকার বিষয়ক গবেষক ও প্রতিবেদনের লেখক স্কাই উইলার বলেন, ধর্ষণ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এক ধ্বংসাত্মক চিত্র। বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনী অসংখ্য নারীকে নির্যাতন করেছে। এতে নারীদের মধ্যে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে মিয়ানমারের উপর অস্ত্র-নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পরামর্শ দিয়েছেন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। একই সঙ্গে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর যে সমস্ত কর্মকর্তা ধর্ষণ ও গণহত্যায় জওয়ানদের উৎসাহিত করেছে তাদের বিদেশ গমনের উপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার তাগাদা দেয় সংগঠনটি।

১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদ গত সপ্তাহে মিয়ানমার সরকারকে রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানায়। জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্থনিও গুতেরেস আগামি ৩০ দিনের মধ্যে মূল্যায়ণ রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।

সূত্র: রয়টার্স

এমজে/