ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

সব শ্রেণির পাঠকের জন্য ইংরেজিতে `মুজিব`: রেদোয়ান মুজিব

প্রকাশিত : ০৯:৫৮ এএম, ১৭ নভেম্বর ২০১৭ শুক্রবার | আপডেট: ১০:৪৮ পিএম, ২২ নভেম্বর ২০১৭ বুধবার

`ঢাকা লিট ফেস্টের` মঞ্চে উন্মোচিত হয়েছে গ্রাফিক নভেল `মুজিব`-এর ইংরেজি সংস্করণ। বৃহস্পতিবার বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে `লিট ফেস্ট`র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন সিরিয়ার কবি আদোনিস। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বইটির প্রকাশক ও বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র রেদোয়ান মুজিব সিদ্দিক। তিনি বলেন, `নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তুলে ধরার লক্ষ্য নিয়ে গ্রাফিক নভেল মুজিবের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। সব শ্রেণির পাঠকের কথা মাথায় রেখে এই নভেলের তিনটি বাংলা পর্ব প্রকাশের পর এবার প্রথম পর্বটি প্রকাশ করা হয়েছে ইংরেজিতে। বইটির ভাষা ব্যবহারের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় উভয় শ্রেণির পাঠকের কথা ভাবা হয়েছে।`

একই স্থানে এর পর অনুষ্ঠিত হয় `মুজিব: টেকিং হিস্টোরি টু দ্য নেক্সট জেনারেশন` শীর্ষক আলোচনা পর্ব। এতে রেদোয়ান মুজিব সিদ্দিক ছাড়াও অংশ নেন গ্রাফিক নভেল `মুজিব`-এর কার্টুনিস্ট সৈয়দ রাশেদ ইমাম তন্ময়, যুক্তরাজ্যের `গ্রান্টা` জার্নালের অনলাইন সম্পাদক লুক নেইমা এবং ইউল্যাবের শিক্ষক আর্জু ইসমাইল। সঞ্চালনা করেন ভারতের কবি ও শিশুসাহিত্যিক জেরি পিন্টো।

বঙ্গবন্ধুর `অসমাপ্ত আত্মজীবনী` অবলম্বনে গ্রাফিক নভেল `মুজিব` বারো পর্বে প্রকাশিত হবে জানিয়ে শেখ রেহানা তনয় বলেন, `আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন আমার স্কুলের বন্ধুদের কাছে নানার (বঙ্গবন্ধু) সম্পর্কে বিভিন্ন কথা বলতাম। কিন্তু তারা সেই সময় তার সম্পর্কে কোথাও কিছু খুঁজে পেত না। ছয় বছরের একটা ছোট শিশুর জন্য বিষয়টা মোটেও স্বস্তিদায়ক ছিল না। সে সময় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু বা ইন্দিরা গান্ধী সম্পর্কে গ্রাফিক নভেল ছিল। আমিও ভাবতাম, আমার নানা সম্পর্কে এমন কিছু থাকলে বন্ধুদের হাতে তুলে দিতে পারতাম। কিন্তু তখন আমি অনেক ছোট। এর অনেক বছর পর ২০১১ সালে দেশে ফিরে এলাম। তখন আবারও আমার মাথায় এই ভাবনাটি উঁকি দেয়। নতুন প্রজন্মের কাছে তাকে তুলে ধরার এর থেকে ভালো আর কী উপায় হতে পারে?`

রেদোয়ান মুজিব আরও বলেন, "গ্রাফিক নভেল তৈরি প্রসঙ্গে আমি প্রথমে আমার মা ও খালাকে (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) জানাই। তারা আমাকে কাজটি শুরু করতে বলেন। কাজটি সহজ ছিল না। এমন বড় মাপের একজন ব্যক্তি সম্পর্কে গ্রাফিক নভেল তৈরির ক্ষেত্রে আমাদের বেশ সাবধান থাকতে হয়েছিল। এর সবচেয়ে বড় `ক্রিটিক্যাল দুই পাঠক` হলেন বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে। আমাদের প্রাথমিক কাজ শেষে তাদের কাছে গ্রাফিক নভেলটি উপস্থাপন করা হলে অধিকাংশ বিষয়ে তারা সম্মতি দিলেও, বঙ্গবন্ধুর পিতার চুলের গঠন নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। বর্তমানে আমরা যারা আছি, তারা কেউ কখনও বঙ্গবন্ধুর পিতার চুল দেখিনি। এমন বেশ কিছু সংশোধন শেষে আমরা গ্রাফিক নভেলের কাজটি শেষ করতে পেরেছি।"

সৈয়দ রাশেদ ইমাম তন্ময় বলেন, `বিষয়টি স্বপ্নের মতো ছিল। এত বড় মাপের একজন মানুষকে আঁকতে গিয়ে নিজস্ব আঁকার স্টাইল পরিবর্তন করতে হয়েছে। সাধারণত কার্টুন চরিত্র আঁকি আমি। কিন্তু এখানে বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন বয়সের ছবির সঙ্গে মিলিয়ে আঁকার চেষ্টা করেছি। এর জন্য দীর্ঘদিন কাজ করতে হয়েছে আমাকে।`

এসএইচ/