ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাদ পরা জন এখন বিলিওনিয়ার

প্রকাশিত : ১১:০৪ পিএম, ২০ নভেম্বর ২০১৭ সোমবার | আপডেট: ১১:০৯ পিএম, ২০ নভেম্বর ২০১৭ সোমবার

জন কলিসন পৃথিবীর সবথেকে কনিষ্ঠ স্বনির্মিত বিলিওনিয়ার। মাত্র ২৭ বছর বয়সেই বিলিওনিয়র ক্লাবে নিজের নাম লিখতে সক্ষম হন আইরিশ এ উদ্যোক্তা। যদিও নিজের এ সফলতা নিয়ে কথা বলতে ইতস্তত বোধ করেন লাজুক স্বভাবের জন।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের এক সাংবাদিক তার অর্থ সম্পদের পরিমাণ জানতে চেয়ে প্রশ্ন করলে জবাবে বলেন, “মানুষ ইদানিং এ প্রশ্নটি বেশি জিজ্ঞেস করছে আমাকে। আর মনে হয় প্রতিবার তারা আমার কাছে চমকপ্রদ একটি জবাব আশা করেন। কিন্তু বলার মত নতুন কিছুই নাই আমার কাছে”।

তিনি আরও বলেন, “আমাকে আরও জিগেস করা হয় আমার শখ কি? উত্তরে ব্যক্তিক্রমী কিছু শখের কথা জানতে চায় বলেই মনে হয় আমার। কিন্তু আমি অবসরে জগিং-এ বের হই। আমি ঠিক এমনই সাধারণ জীবনযাপন”।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সফটওয়্যার ‘স্ট্রাইপ’ এর সহ প্রতিষ্ঠাতা জন। তিনি ও তার ভাই মিলে ২০১১ সালে সফটওয়্যারটি নির্মাণ করেন। সফটওয়্যারটি সাধারণ মানুষের কাছে খুব একটা পরিচিত নয়। কারণ স্ট্রাইপ-এ সাধারণ মানুষদের কাছে কোন পণ্য বা সেবা বিক্রি করা হয় না। বরং পৃথিবীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ইন্টারনেটের আর্থিক লেনদেন করা হয় এ সফটওয়্যারে। আরও সহজ করে বললে টেসলা বস বা পে-পালের মত একটি সফটওয়্যার স্ট্রাইপ। টেকনোলজি জায়ান্ট এপল থেকে শুরু করে সারা বিশ্বে মোট ১ লক্ষ গ্রাহক আছে স্ট্রাইপের। গত বছর পর্যন্ত স্ট্রাইপের মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ৯.২ বিলিয়ন।

যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোতে বড় ভাই পেট্রিকের সাথে চালু করেন স্ট্রাইপ। ২৯ বছর বয়সী পেট্রিক পৃথিবীর স্বনির্মিত ৩য় কনিষ্ঠ বিলিওনিয়ার (২য় হচ্ছে স্ন্যাপচ্যাটের প্রতিষ্ঠাতা ইভান স্পেইগেল)। জন ও পেট্রিক আয়ারল্যান্ডে কলেজ পর্যন্ত পড়াশুনা করেন। এরপর পেট্রিক ২০০৬ সাকে ম্যাসাচুস্টেটস ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (এমআইটি) এবং ২০০৮ সালে জন হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হন। তবে স্ট্রাইপের কার্যক্রম করতে গিয়ে তাদেরকে ইউনিভার্সিটির পড়াশুনা ছেড়ে দিতে হয়।

স্ট্রাইপ তাদের গ্রাহক প্রতিষ্ঠানে সাধারণ ক্রেতাদের করা লেনদেনেও ওপর শতকরা হারে নির্দিষ্ট কিছু টাকা চার্জ করে থাকে।

সূত্র: বিবিসি ওয়ার্ল্ড

 

টিকে/