ভিটামিন ডি এর অভার দূর করবেন যেভাবে
প্রকাশিত : ০৯:২৯ পিএম, ২১ নভেম্বর ২০১৭ মঙ্গলবার
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং শারীরিক অবস্থার উন্নতি ঘটাতে ভিটামিন ডি খুবই উপকারি। বর্তমানে দেশের মোট জনসংখ্যার একটা বড় অংশই ভিটামিন ডি-এর ঘটতিতে ভুগছে। সম্প্রতি হওয়া বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে শরীরে ভিটামিন ডি-এর মাত্রা কমে গেলে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতf কমে যায়। কেননা ভিটামিন ডি-এর সঙ্গে হাড়ের সরাসরি যোগ রয়েছে। তাই ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি হওয়া মানে ধীরে ধীরে হাড় দুর্বল হয়ে পরা। আর এমনটা হওয়া মানেই আর্থারাইটিসের মতো রোগ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠা। আরেকটি বিষয়ও মাথায় রাখা জরুরি যে ভিটামিন ডি হাড়কে শক্তোপোক্ত করার পশাপাশি হার্ট, ব্রেন এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমাতাও বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এখন প্রশ্ন হল শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি কিভাবে পূরন করব? এক্ষেত্রে কতগুলি সহজ পদ্ধিতি অবলম্বন করার মাধ্যমে এ সমস্যা সহজেই দূর করতে পারেন।
গায়ে রোদ লাগান:
আজকাল আমাদের জীবনযাত্রা এত মাত্রায় এয়ার কন্ডিশান কেন্দ্রিক হয়ে উঠেছে যে শরীরে রোদ লাগে না বললেই চলে। ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি হওয়ার পিছনে মূল কারণ হলো সূর্যের আলোর অভাব। আসলে সূর্যালোক হল এই ভিটামিন ডি-এর সবথেকে বড় উৎস। তাই শরীরের ভেতরে ভিটামিন ডি-এর চাহিদা পূরণ করতে সপ্তাহে দুবার, সকাল বেলা কমপক্ষে ৩০ মিনিট গায়ে রোদ লাগাতে হবে।
কর্ডলিভার অয়েল:
কর্ড মাছের লিভার থেকে সংগ্রহ করা এই তেল সারা গায়ে লাগিয়ে যদি মাসাজ করতে পারেন, তাহলে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি অনেকাংশ কমে যায়। কারণ এই তেলটির ভেতরে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন ডি মজুত থাকে। হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি এবং জযেন্ট পেন কমাতেও এই তেল বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
মাশরুম:
ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি মেটাতে এই প্রকৃতিক উপাদানটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই হাড়ের পাশপাশি হার্ট এবং ব্রেনকে যদি চাঙ্গা রাখতে চান, তাহলে সপ্তাহে ২-৩ দিন মাশরুম খেতে হবে। প্রসঙ্গত, ভিটামিন বি-এর চাহিদা পূরণেও মাশরুমের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।
সামদ্রিক মাছ:
সামদ্রিক মাছে যে পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, সেই পরিমাণে ভিটামিন ডি-ও থাকে। তাই সামুদ্রিক মাছ খাওয়ার মাধ্যমে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণ করতে পারেন।
সূর্যমুখী ফুলের বীজ:
এই প্রাকৃতিক উপাদানটিতি প্রচুর মাত্রায় মজুত রয়েছে ভিটামিন ডি এবং উপকারি প্রোটিন। তাই তো নিয়মিত যদি সূর্যমুখী ফুলের বীজ একটু ভেজে নিয়ে খেতে পারেন, তাহলে ভিটামিন ডি-এর যোগান নিয়ে আর কোনও চিন্তাই থাকবে না।
দুধ খাওয়া জরুরি:
মাশরুমের মত দুধেও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি রয়েছে। তাই শরীরের ভিটামিন ডি-এর যোগান বৃদ্ধির করার জন্য দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার খাওয়া খুবই জরুরি।
ডিম:
শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি মেটাতে চাইলে রোজের ডায়েটে একটা করে ডিম থাকা খুবই জরুরি। নিউট্রিশনিস্টদের মতে ডিমের ভেতরে প্রোটিন এবং উপকারি কোলেস্টেরল পাশাপাশি ভিটামিন ডি-ও রয়েছে। তাই শরীরকে কর্মক্ষম রাখতে এবং হাড়ের নানাবিধ রোগ দূরে করতে রোজ একটা বা দুটো ডিম খাওয়া উচিত।
সূত্র: বোল্ড স্কাই
এম/এসএইচ