ভার্জিনিটি প্রমাণে আদালতে পাকিস্তানি অভিনেত্রী মীরা
প্রকাশিত : ০২:৫১ পিএম, ২২ নভেম্বর ২০১৭ বুধবার
নিজেকে ‘ভার্জিন কন্যা’ প্রমাণ করতে আদালতে লড়তে হচ্ছে পাকিস্তানের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ইরতিয়াজ রুবাব মীরাকে। কখনও বিয়ে করেননি, এমনকি এখনও ভার্জিন বলে দাবি করা জনপ্রিয় এই অভিনেত্রীর ভার্জিনিটি টেস্টের জন্য আবেদন করেন তাঁর কথিত স্বামী রেহমান।
বলিউড ও পাকিস্তানের ললিউডে সমান জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী বিয়ে করতে চান, সংসার চান, ছেলে-মেয়ে চান। অথচ সাত বছর ধরে মাথার উপর খড়গ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে পারিবারিক আদালতের একটি মামলা।
৪০ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ারও ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন কয়েক বছর আগে। মীরা বলেন, আমার জনপ্রিয়তা শুধু ললিউড আর বলিউডে নয়, রাজনীতিতেও আমি সমানভাবে জনপ্রিয় হতে চাই।
২০০৯ সালে ফয়সালাবাদ এলাকার আতিকুর রহমান মীরা নামের এক ব্যবসায়ীস সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, তিনি ও মীরা ২০০৭ সালে গোপনে বিয়ে করেন। তবে সেখানে মীরার মা ও তার চাচা উপস্থিত ছিলেন। প্রকাশ্যে স্বামী হিসেবে মর্যাদা না দেওয়ায় এবং নিজেকে এখনো অবিবাহিত দাবি করায় তিনি গণমাধ্যমের সামনে এসেছেন বলে জানান রেহমান।
স্বামীত্ব দাবি করে ইতোমধ্যে একটি কাবিন নামা প্রমাণ দেখিয়ে বেশ কয়েকটি পিটিশানও দায়ের করেন তিনি। এরই অংশ হিসেবে বেশ কয়েকদিন আগে আদালতে মীরার ভার্জিনিটি টেস্টের আবেদন করেন রেহমানের আইনজীবী । রেহমান দাবি করে, ভার্জিনিটি টেস্ট হলেই, প্রমাণীত হবে মীরা আমার বউ কি না।
তিনি আরও বলেন, মীরা অন্য কাউকে বিয়ে করলে তাঁর আপত্তি নেই। তবে তাঁর আগে তাঁকে ডিভোর্স দিতে হবে। তবে আবেদনটি আদালতে গৃহীত হয়নি বলে জানিয়েছেন মীরার আইনজীবী বালাক শের খোসা। তিনি বলেন, ভার্জিনিটি টেস্টের আবেদনটি আদালত খারিজ করে দিয়েছেন।
এদিকে ২০১০ সালে এই কাবিন নামা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট করেন মীরা। মীরা দাবি করেন, রেহমান খ্যতির জন্য খুদার্ত। সে আমার সুনামকে কাজে লাগাতে চায়। এছাড়া রেহমানকে ‘ডিস্টার্বট’ হিসেবেও গালি দেন তিনি।
তবে ভার্জিনিটি টেস্টের আবেদন খারিজ হলেও খুব শীঘ্রই বিয়ে করতে পারছেন না মীরা। তার আগে অবশ্যই তাকে অবিবাহিতা প্রমাণ করতে হবে। মামলাটিকে সেলিব্রেটিদের জন্য কলঙ্কজনক অধ্যায় বলে বলছেন মীরা। একইসঙ্গে রেহমানের আইনজীবীকে মামলার দীর্ঘসূত্রিতার জন্য দায়ি করেন তিনি। মামলাটি কখন চূড়ান্ত নিস্পত্তির দিকে যাবে, তা এখনো বলা যাচ্ছে না।
জানা যায়, পাকিস্তানে ধর্ষণের মামলায় ভার্জিনি টেস্টের প্রচলন আছে। তবে বহু পারিবারিক মামলায়ও ভার্জিনিটি টেস্টের আবেদন করা হলেও আদালত নারীর সুরক্ষার কথা চিন্তা করে ভার্জিনিটি টেস্টকে কেবল ধর্ষণের মামলার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য বলে রায় দেন।
সূত্র: বিবিসি
/ এমজে / এআর
"