তুলসি পাতার নানাগুণ
প্রকাশিত : ০৭:০১ পিএম, ২৪ নভেম্বর ২০১৭ শুক্রবার | আপডেট: ০৯:৩৩ পিএম, ৩০ নভেম্বর ২০১৭ বৃহস্পতিবার
হাজার হাজার বছরে ধরে বিভিন্ন রোগ সারাতে তুলসি পাতার ব্যবহার হয়ে আসছে। এই প্রকৃতিক উপাদানটিতে থাকা বেশ কিছু শক্তিশালী উপাদান নানাবিধ রোগ দূর করতে দারুণ ভাবে কাজ করে। প্রাচীন আয়ুর্বেদ শাস্ত্রেও এর গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা তুলসি পাতা না চিবিয়ে জলের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আমাদের এ আয়োজনে তুলসি পাতার বেশ কিছু উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
১. রক্ত পরিশুদ্ধ করণে
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে দুই থেকে তিনিটি তুলসি পাতা খেলে রক্তে উপস্থিত ক্ষতিকর উপাদান বেরিয়ে যায়। ফলে শরীর ভিতর থেকে চাঙ্গা হয়ে ওঠে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
২. ব্রণের প্রকোপ কমে
তুলসি পাতায় উপস্থিত অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট শরীরে প্রবেশ করার পর ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া এবং জীবাণুদের সঙ্গে সঙ্গে মেরে ফেলে। ফলে ব্রণর প্রকোপ কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে নানাবিধ সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে যায়। প্রসঙ্গত, ব্রণর চিকিৎসায় তুলসি পাতা খেতে পারেন অথবা সরাসরি মুখে পেস্ট বানিয়ে লাগাতে পারেন। দুই ক্ষেত্রেই সমান উপকার পাওয়া যাবে।
৩. ডায়াবেটিস দূরে থাকে
গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত তুলসি পাতা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ইনসুলিনের কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। ফলে শরীরে সুগারের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা মরে যায়। এছাড়াও মেটাবলিক ড্য়ামেজের হাত থেকে লিভার এবং কিডনিকে বাঁচাতেও তুলসি পাতা দারুণ ভাবে সাহায্য করে।
৪. ক্যান্সার দূরে থাকে
তুলসি পাতায় উপস্থিত ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট শরীরের ভেতরে যাতে ক্যান্সারের সেল জন্ম নিতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখে। ফলে ক্যান্সার রোগ ধারে কাছে আসার সুযোগ পায় না। গবেষণায় দেখা গেছে তুলসি পাতা লিভার, ওরাল এবং স্কিন ক্যান্সারের প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। আসলে ফাইটোনিউট্রিয়েন্টের পাশাপাশি তুলসি পাতার ভেতরে থাকা একাধিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্টও এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৫. স্ট্রেস কমায়
তুলসি পাতা খেলে কর্টিজল হরমোনের ক্ষরণ কমে যায়। ফলে স্ট্রেস লেভেলও কমতে শুরু করে। কারণ কর্টিজল হরমোনের সঙ্গে স্ট্রেসের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। ডিপ্রেশন বা মানসিক অবসাদের প্রকোপ কমাতেও তুলসি পাতা দারুণ ভাবে সাহায্য করে।
৬. সর্দি-জ্বরের প্রকোপ কমায়
তুলসি পাতা হল প্রকৃতির অ্যান্টিবায়োটিক। তাই জ্বর এবং সর্দি-কাশি সারাতে এই প্রাকৃতিক উপাদানটি খুবই উপকারি। যে ভাইরাসের কারণে জ্বর হয়েছে, সেই জীবাণুগুলোকে মারতে ধ্বংস করে এই তুলসি পাতা।
৭. মাথা ব্যাথা কমাতে
তুলসি পাতায় সিডেটিভ এবং ডিসইনফেকটেন্ট প্রপাটিজ থাকার কারণে যে কোন ধরনের মাথা যন্ত্রণা দূর করতে সাহায্য করে। তাই আপনি যদি প্রায়শই সাইনাস বা মাইগ্রেনের সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাহলে তা কমানের জন্য তুলসি পাতাকে কাজে লাগাতে পারেন।
৮. দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে
দৃষ্টিশক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি ছানি এবং গ্লকোমার মতো চোখের রোগকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে ম্যাকুলার ডিজেনারেশন আটকাতেও সাহায্য করে।
সূত্র: বোল্ড স্কাই
এম/টিকে