৩৮তম বিসিএস
প্রিলিতে উত্তীর্ণ হওয়ার কিছু সহজ কৌশল
প্রকাশিত : ০৮:২৮ পিএম, ২৬ নভেম্বর ২০১৭ রবিবার | আপডেট: ০৩:৪৯ পিএম, ২৭ নভেম্বর ২০১৭ সোমবার
৩৮তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি দরজায় কড়া নাড়ছে। দেশের প্রায় সাড়ে তিন লাখ চাকরি প্রার্থী এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিতে যাচ্ছেন। প্রিলিমিনারি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে বিসিএস চাকরি প্রার্থীরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন এখন। পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতি নেওয়ার সুবিধার্থে ইটিভি অনলাইনের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন ৩৬তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত মাজহারুল ইসলাম। মাজহারুল ইসলামের টিপস নিয়ে লিখেছেন একুশে টেলিভিশন অনলাইন রিপোর্টার মাহমুদুল হাসান।
যারা পূর্ব থেকে প্রস্তুনি নিচ্ছেন তারা বিসিএস প্রিলিমিনারির ক্ষেত্রে অনেকাংশে এগিয়ে থাকেন। অন্যদিকে পূর্ব থেকে প্রস্তুতি না নেওয়া থাকলে এত বড় সিলেবাস শেষ করা অনেক ক্ষেত্রে কষ্টকর হয়ে যায়। তাই বিসিএস প্রিলিমিনারির জন্য ভালোভাবে প্রস্তুনি নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। কেননা এ পরীক্ষার জন্য ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে পরলে লিখিত এবং ভাইভার ক্ষেত্রে অনেকটা এগিয়ে থাকা যায়। বর্তমানে বিসিএস পরীক্ষার ভাইভা পর্যন্ত যেতে পারলে চাকরি প্রায় নিশ্চিত।
যেকোনো বিষয়ে পড়ার আগে বিগত বছরগুলোতে বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় আসা প্রশ্নগুলো ভালোভাবে পড়ে নিতে পারেন। এর মাধ্যমে পরীক্ষায় কিভাবে প্রশ্ন আসবে সে সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে। শেষ সময়ে এসে সবকিছু না পড়ে বাছাই করে পড়া ভালো।
অন্য দিকে সিলেবাস দেখে দেখে ভালোভাবে প্রস্তুতি নিলে পরীক্ষায় ভালো করা সম্ভব। বিসিএসের প্রিলিমিনারি প্রস্তুতির জন্য শর্ট-কাট কোনো পথ নেই। তাই শুরু থেকেই একটু কষ্ট করে যদি প্রিলিমিনারির প্রস্তুতি ভালোভাবে নেওয়া যায় তাহলে তা লিখিত ও ভাইভাতে অনেক বেশি কাজে আসবে। তুলনামূলক কঠিন বিষয়গুলো খাতায় লিখে প্রস্তুতি নিতে পারেন। পড়ার সময় গুরুত্ব অনুযায়ী লাল কালি দিয়ে দাগিয়ে পড়তে পারেন। যা পরবর্তীতে রিভিশনের সময় অনেক বেশি কাজে আসবে। চলুন এবার বিষয় ভিত্তিক প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করা যাক-
বাংলা- ৩৫
বিসিএস প্রিলিমিনারির জন্য বাংলা বিষয়ের বাংলা সাহিত্য এবং ব্যাকরণ অংশে ভালো করতে হলে সর্বপ্রথম বিসিএসসহ পিএসসির নন-ক্যাডার ও অন্যান্য সরকারি চাকরির বিগত বছরের প্রশ্নগুলো ভালোভাবে দেখে নিলে পরীক্ষার ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকা যায়। কেননা বিগত বছরের প্রশ্ন থেকে অনেক প্রশ্ন কমন পড়ে থাকে।
সাহিত্য অংশে প্রাচীন ও মধ্যযুগের সাহিত্যের ক্ষেত্রে চর্যাপদ, শ্রীকৃষ্ণকীর্তন, মঙ্গলকাব্য, অনুবাদ সাহিত্য, লৌকসাহিত্য ও ময়মনসিংহ গীতিকা ও নাথ সাহিত্য ভালো করে পড়তে হবে। এছাড়াও লেখকদের মধ্যে আলাওল, হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, বড়ু চণ্ডিদাস, বিদ্যাপতি, শাহ মুহাম্মদ সগীর, গোবিন্দদাস, জ্ঞান দাস, কবি কঙ্কন, মুকুন্দরাম চক্রবর্তী, আব্দুল হাকিম, ভারতচন্দ্র, ফকির গরীবুল্লাহ, দৌলত উজির, চন্দ্রাবতী বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আরকান রাজসভার কবিদের সম্পর্কেও ভালোভাবে পড়তে পারেন।
আধুনিক যুগের সাহিত্যিকদের ক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, মাইকেল মুধুসূদন দত্ত, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, মীর মোশাররফ হোসেন, প্রমথ চৌধুরী, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, বেগম রোকেয়া, জীবনানন্দ দাশ, রাজা রামমোহন রায়, দীনবন্ধু মিত্র, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুকান্ত ভট্রাচার্য, সুফিয়া কামাল, হুমায়ূন আহমেদ, হুমায়ূন আজাদ, শামসুর রাহমান, নির্মলেন্দু গুণ, সেলিম আল দীন, সৈয়দ শামসুল হক, শওকত ওসমান, জহির রায়হান, জসীমউদ্দিন এবং সেলিনা হোসেন সম্পর্কে জানতে হবে। এছাড়াও সৌমিত্র শেখর স্যারের বইটি থেকে যুগ বিভাগ, বিখ্যাত লেখকদের সম্পর্কে জানতে হবে।
এসব সহিত্যিকদের জীবনী, সাহিত্য কর্ম এবং তাদের বিখ্যাত উক্তি ভালোভবে পড়ে নিতে পারলে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ভালো করা সম্ভব। এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক সাহিত্যের উপর অবশ্যই জোর দিয়ে পড়তে হবে। এ জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস, নাটক, গল্পগ্রন্থ, উক্তি ভালোভাবে পড়তে হবে। বিখ্যাত পত্রিকা ও সম্পাদক সম্পর্কে জানতে হবে। বিখ্যাত কবি সাহিত্যিকদের গুরুত্বপূর্ণ উক্তি ও পঙক্তি মুখস্থ করতে হবে। এছাড়াও বিখ্যাত ভ্রমণকাহিনী বিষয়ক সাহিত্য সম্পর্কেও পড়তে পারেন।
ব্যাকরণ অংশের জন্য নবম-দশম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ বইটি ভালোভাবে পড়তে হবে। আর ব্যাকরণ অংশের ধ্বনি, বর্ণ, বানান, প্রয়োগ-অপপ্রয়োগ, প্রতিশব্দ, পারিভাষিক শব্দ, বিপরীত শব্দ, পদ-প্রকরণ (বিশেষ করে বিশেষ্য, বিশেষণ ও অব্যয়), সন্ধি ও সমাসের ব্যতিক্রম উদাহরণগুলো পড়তে হবে।
ইংরেজি- ৩৫
প্রিলিমিনারির ইংরেজি সিলেবাস দু’টি ভাগে বিভক্ত। একটি হলো লেংগুয়েজ অংশ-২০ নম্বরের এবং দ্বিতীয়টি হলো-সাহিত্য-১৫ নম্বরের। সর্বপ্রথম বিসিএসসহ পিএসসির নন-ক্যাডার ও অন্যান্য সরকারি চাকরিতে আসা বিগত সালের প্রশ্নগুলো ভালোভাবে দেখে নিলে পরীক্ষার ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকবেন। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সিলেবাস অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়া। এতে গ্রামারের নিয়মগুলো সহজেই আয়ত্বে আসবে। এছাড়াও আপনকে Parts of Speech এর মধ্যে Noun, Verb, Adjective, Adverb সম্পর্কে জানতে হবে। এছাড়াও Determiner, Gender, Finite verb, Nonfinite verb, Gerund, participle, Infinitive, Phrasal Verb, Appropriate Preposition, Right forms of Verb এবং Subject Verb Agreement সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। অনেকের জন্য শব্দার্থ মনে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই বারবার পড়তে হবে। যে শব্দগুলো কঠিন মনে হবে সেগুলো খাতায় লিখে পড়লে মনে থাকবে।
ইংরেজির সাহিত্যের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় অংশটি হল সাহিত্য। এ অংশ থেকে প্রথম কাজ হল সাহিত্যের যুগ বিভাজন সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নেওয়া। তবে কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যিক যেমন-Alexander Pope, Ben Jonson, Bertrand Russell, Charles Dickens, G B Shaw, Homer, Jane Austen, John Keats, John Milton, Leo Tolstoy, Lord Byron, O` Henry, P. B. Shelly, S.T. Coleridge, T.S. Eliot, W. Somerset Maugham, W.B. Yeats, William Shakespeare, William Wordsworth. তাদের ছাড়াও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ লেখদের বিখ্যাত উপন্যাস, গল্প এবং কবিতাগুলোর নাম জেনে রাখতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে এই লেখাগুলোর চরিত্রগুলোর নামও জানতে হবে।
গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা -(১৫+১৫):
সর্বপ্রথম বিসিএসসহ পিএসসির নন-ক্যাডার ও অন্য সরকারি চাকরিতে আসা বিগত সালের প্রশ্নগুলো ভালোভাবে দেখে নিলে পরীক্ষার ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকবেন। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সিলেবাস অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়া। এছাড়াও বিসিএসের সিলেবাস অনুযায়ী অষ্টম এবং নবম-দশম শ্রেণির গণিতসহ উচ্চতর গণিত বইটি ভালোভাবে শেষ করতে হবে। গণিতের জন্য সমান্তর ধারা, গুণোত্তরধারা, বিন্যাস-সমাবেশ, সাম্ভাব্যতা, সেট, মান নির্ণয়, সূচক-লগারিদম ও জ্যামিতিক অংশগুলো ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে। গণিতে ভালো করার মূলমন্ত্র হচ্ছে বেশি পরিমাণে অনুশীলন। যে যত বেশি অনুশীলন করবেন সে তত বেশি এগিয়ে থাকবেন। তাই প্রতিদিন গণিত অনুশীলনের মাধ্যমে নিজেকে প্রস্তুত রাখুন। গণিত অনুশীলন করার সময় ক্যালকুলেটর ব্যবহার যাবে না । কেননা পরীক্ষার হলে আপনি ক্যালকুলেটর ব্যবহার করার সুযোগ পাবেন না। মানসিক দক্ষতা অংশে ভালো করতে হলে বিগত সালের প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নগুলো ভালোভাবে পড়তে হবে।
সাধারণ জ্ঞান- ৫০
সাধারণ জ্ঞানে ভালো করতে হলে বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক উভয় বিষয়ে সমান গুরুত্ব দিতে হবে। কেননা এটি প্রিলিমিনারি ছাড়াও লিখিত ও ভাইভার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা থেকে শুরু করে স্বাধীনতার পূর্বের বিভিন্ন ঘটনা প্রবাহ সম্পর্কে পরিস্কার ধারণা থাকতে হবে। বাংলাদেশের বিখ্যাত ব্যক্তিগণ সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানতে হবে। আন্তর্জাতিক বিষয়ে ভালো করার জন্য মানচিত্রের জ্ঞান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আন্তর্জাতিক অংশের যখন যে অংশ পড়বেন তখন সঙ্গে মানচিত্রের মাধ্যমে নির্দিষ্ট করে পড়লে তা অনেক বেশি কাজে আসবে। পড়ার সময় যে বিষয়টি কঠিন মনে হবে সে বিষয়টি মার্ক করে পড়া যেতে পারে। তবে লিখে লিখে পড়লে তা বেশি কাজে আসবে বলে আমি মনে করি। এর মাধ্যমে লিখিত পরীক্ষায় আপনি এগিয়ে থাকবেন। এছাড়াও বাংলাদেশের সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ ধারাগুলো ভালোভাবে পড়ে নিতে হবে।
এছাড়াও নিয়মিত দৈনিক ও মাসিক পত্রিকা পড়তে হবে। বাংলা পত্রিকার প্রথম ও শেষ পাতা, সম্পাদকীয় ও মতামত, আন্তর্জাতিক, বাণিজ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক বিষয়গুলো পড়তে হবে।
আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানসমূহ সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখতে হবে। এছাড়া অর্থনৈতিক সমীক্ষা ও সরকারি বিভিন্ন জরিপের প্রয়োজনীয় অংশ পড়তে হবে। বাংলাদেশ অংশের জন্য বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, মুক্তিযুদ্ধ, বিভিন্ন আন্দোলন, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব, প্রাচীন স্থাপত্যের উপর বেশি জোর দিতে হবে।
সাধারণ বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি- (১৫+১৫)
সাধারণ বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ে ভালো করতে হলে প্রথমে বিসিএসসহ পিএসসির নন-ক্যাডার ও অন্যান্য সরকারি চাকরিতে আসা বিগত সালের প্রশ্নগুলো ভালোভাবে পড়তে হবে। এছাড়াও নবম-দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বইটি ভালোভাবে পড়তে হবে। আপনার পছন্দমত বাজারে প্রচলিত যে কোনো একটি বই অনুসরণ করতে পারেন। আপনার কাছে যে বিষয়গুলো কঠিন মনে হবে সে বিষয়গুলো লিখে লিখে প্রস্তুতি নিতে পারেন।
অন্য দিকে কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বাজারে প্রচলিত একটি বই পড়তে পারেন এবং প্রয়োজনে কঠিন বিষয়গুলো বাস্তব জ্ঞানের মাধ্যমে শিখতে পারেন।
ভূগোল পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা - ১০:
উপরোক্ত বিষয়ে ভালো করতে হলে বিসিএসসহ পিএসসির নন-ক্যাডার ও অন্যান্য সরকারি চাকরিতে আসা বিগত সালের প্রশ্নগুলো সিলেবাস অনুযায়ী ভালোভাবে পড়তে হবে। ভূগোল বিষয়ে ভলো করতে হলে মানচিত্র সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। বিশ্বের কোন দেশ কোথায় অবস্থিত সেটা জানা না থাকলে এ অংশে ভালো করা সম্ভব নয়। তাই বিশ্ব মানচিত্র সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে বাজারে প্রচলিত যে কোনো একটি বই-এর পাশাপাশি নবম-দশম শ্রেণির ভূগোল বইটি পড়তে পারেন। আর প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিষয়ে ভালো করতে হলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ সস্পর্কে ভিবিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিদন সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। এছাড়াও প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ে কাজ করে এমন প্রতিষ্ঠান সম্পর্কেও জানতে হবে।
নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন- ১০:
নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন বিষয়ক বিগত সালের প্রশ্নগুলো পড়ে এ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দিতে হবে । অন্যদিকে এ বিভাগের প্রশ্নের উত্তর শতভাগ নিশ্চিত না হয়ে দেওয়া উচিত নয়। তা না হলে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই সাবধানতার সাথে এ বিভাগের প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে হবে।
এম/টিকে