ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

দিয়াজ হত্যার বিচার চেয়ে কাপনের কাপড় পরে বঙ্গবন্ধু চত্বরে মা

প্রকাশিত : ০২:১৪ পিএম, ২৭ নভেম্বর ২০১৭ সোমবার

ছেলে হত্যার বছর পেরোলেও হত্যাকারীদের কেউ গ্রেফতার না হওয়ার প্রতিবাদে কাফনের কাপড় পরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বঙ্গবন্ধু চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ছাত্রলীগের সাবেক সহসম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর মা।

আজ সোমবার সকাল থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবনের সামনে দিয়াজের মা জাহেদা আমিন চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু চত্বরে অবস্থান কর্মসূচিতে বসেন। এসময় তিনি আহাজারি করতে থাকেন। ছেলে হত্যার বিচার না হওয়ায় এবং আসামিদের এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করতে না পারায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী ও প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরীর পদত্যাগ দাবি করেন তিনি।

এদিকে জাহেদা আমিন চৌধুরী অবস্থান কর্মসূচিতে বসতে গেলে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। আহাজারি করে বলতে থাকেন, ‘আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই। আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।’ এসময় তিনি বলেন, ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী ও প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমি অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাব।

এদিকে দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর মায়ের অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মিছিল করেছে মামলার আসামীরা, এমন অভিযোগ দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর বোনের। শুধু তাই নয়, মামলার অন্যতম আসামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আনোয়ার হোসেন বর্তমানে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান করলেও তাকে খোঁজে পাচ্ছে না পুলিশ এমন অভিযোগ দিয়াজের বোন সরোয়ার জাহান নীপার।

গত বছরের ২০ নভেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর সড়কের আবাসিক এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে দিয়াজের লাশ উদ্ধার করা হয়। তাঁকে হত্যার পর ঝুলিয়ে রাখা হয় বলে পরিবারের অভিযোগ। ঘটনার চার দিন পর ২৪ নভেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন ও ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপুসহ ১০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন নিহতের মা জাহেদা আমিন চৌধুরী।

মামলার আসামিরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আবুল মনসুর জামশেদ, প্রচার সম্পাদক রাশেদুল আলম জিশান, বর্তমান স্থগিত কমিটির সভাপতি আলমগীর টিপু, যুগ্ম সম্পাদক আবু তোরাব পরশ, সিনিয়র সহ–সভাপতি মনসুর আলম, সহ–সভাপতি আবদুল মালেক, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আরমান, আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান, সহ–সম্পাদক আরেফুল হক অপু (বহিষ্কৃত)।

এদিকে আসামীদের গ্রেফতারে আদালতের নির্দেশ থাকলে তাঁদের খোঁজে পাচ্ছে না পুলিশ। তবে আসামীরা প্রতিনিয়তই বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন সরোয়ার নীপা।

এমজে/ এআর