রোহিঙ্গা সংকট: যুক্তরাজ্য দিবে আরও এক কোটি ২০ লাখ ইউরো
প্রকাশিত : ০২:২৫ পিএম, ২৭ নভেম্বর ২০১৭ সোমবার
মিয়ানমারে বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞের পর বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সহায়তায় আরও এক কোটি ২০ লাখ ইউরো দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য।
আজ সোমবার ঢাকার যুক্তরাজ্য হাই কমিশন থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত শনিবার যুক্তরাজ্য সরকারের উন্নয়ন সংস্থা ডিএফআইডির সেক্রেটারি পেনি মরডন্ট কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে। পরিদর্শন শেষে তিনি নতুন করে এই অর্থ সহায়তার ঘোষণা দেন।
বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, এবারের এক কোটি ২০ লাখ ইউরো অর্থ সহায়তা পেলে ২৫ আগস্টের পর থেকে রোহিঙ্গাদের জন্য যুক্তরাজ্যের সহায়তার মোট পরিমাণ হবে পাঁচ কোটি ৯০ লাখ ইউরো।
ডিএফআইডি সেক্রেটারি মরডন্ট বলেছেন, যুক্তরাজ্য এখনকার মতো ভবিষ্যতেও এ সঙ্কটে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও বাংলাদেশের পাশে থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, রাখাইন থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যূত অনেক নারী-পুরুষ ও শিশুদের সঙ্গে কথা বলেছেন মরডন্ট। এবং তাদের প্রতি অত্যাচার-নির্যাতনের বর্ণনা শোনেন তিনি।
রোহিঙ্গাদের বাস্তুচ্যূত করার ঘটনাকে জাতিগত নির্মূল অভিযান বলে অভিহিত করেছেন মরডন্ট। তিনি বলেছেন, বার্মিজ সেনাবাহিনীকে এই অমানবিক সহিংসতা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারে দমন-পীড়নের মুখে গত আগস্টের শেষ দিকে বাংলাদেশ অভিমুখে রোহিঙ্গাদের ঢল নামে। রাখাইনে দীর্ঘদিন ধরে জাতিগত নিপীড়নের শিকার হয়ে আগে থেকে চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে বাস করছে। নতুন করে যোগ হয়েছে সোয়া ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা।
সম্প্রতি রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে রাখাইনের জনগোষ্ঠীকে ফেরত নিতে মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা হয়েছে। এতে রোহিঙ্গাদেরকে ফেরত নিতে দেশটির সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে বাংলাদেশ। চুক্তি অনুযায়ী, ১৯৯২ সালে দুই দেশের মধ্যে স্বক্ষরিত চুক্তি অনুসরণ করা হবে। ২০১৬ সালের অক্টোবরের পর থেকে যেসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে তাদের আগে পাঠানো হবে।এর আগে থেকেই থাকা রোহিঙ্গাদেরকে ফেরত পাঠানোর বিষয় পরে বিবেচনা করা হবে। মিয়ানমারে ফেরত নেওয়ার পর রোহিঙ্গাদের তাদের সাবেক আবাসস্থল বা পছন্দ অনুযায়ী কাছাকাছি কোনও স্থানে পুনর্বাসিত করা হবে।
একে// এআর