‘উন্নয়ের জন্য বিভিন্ন দেশের কৌশল কাজে লাগাতে পারি’
প্রকাশিত : ০৯:১২ পিএম, ২৮ নভেম্বর ২০১৭ মঙ্গলবার
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কৌশল, প্রযুক্তি এবং বুদ্ধিকে কাজে লাগাতে পারলে বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। এসব দেশের কৌশলগুলোকে দেশের মাঝে উপস্থাপনের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দায়িত্ব পালনরত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার ও স্থায়ী প্রতিনিধিদের প্রতি এ আহ্বান জানান তিনি।
মঙ্গলবার সন্ধায় রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী দূত সম্মেলনে সমাপনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে প্রথমবার আমরা যখন ক্ষমতায় আসি, তখন বিশ্ব মন্দা অর্থনীতির মধ্যে ছিল। এ সময় আমরা ডোমেস্টিক পণ্য উৎপাদন করে মন্দা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছি, সফল হয়েছি। আমরা আরও উন্নত হতে পারব যদি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কৌশলগুলোকে কাজে লাগাতে পারি। এর মধ্যে থাকতে পারে দরিদ্র বা সল্প-উন্নত রাষ্ট্র। কিন্তু তাদের কৌশল, প্রযুক্তি এবং বুদ্ধিকে কাজে লাগাতে পারলে আমরা আরো এগিয়ে যাব।
তিনি বলেন, এসব দেশের বিভিন্ন কৌশলগুলোকে আমাদের দেশের মধ্যে উপস্থাপনের ক্ষেত্রে বড় ধরনের ভূমিকা রাখতে পারে বিভিন্ন দেশে দায়িত্ব পালনরত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার ও স্থায়ী প্রতিনিধিরা।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, বিশ্বের সব দেশেই কম বেশি সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ আছে। তার দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। এর মধ্যে আমাদের দেশেও কিছু কিছু মাথা চড়া দিয়ে উঠছিল। আমরা মোকাবেলা করেছি। আমাদের দেশের এই ভাবমুর্তিগুলোকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে হবে। এ ক্ষেত্রে আমাদের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনারদের বড় ধরনের ভূমিকা পালন করতে হবে।
রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে সম্প্রতি চুক্তিটি হলো তাদের ফেরানোর প্রথম পদক্ষেপ। এ চুক্তিতে নেতিবাচক দিকগুলোকে হাইলাইট করা হচ্ছে। আসলে এখানে নেতিবাচকের তেমন কিছু নেই। আপনাদের মাধ্যমে এই চুক্তিটি সবার কাছে প্রকাশ করতে চাই। বিশ্ব এই চুক্তির প্রসংশা করছে, আমরা সবার সামনে এটি তুলে ধরতে চাই।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ যখন স্বাধীন হয়েছিল তখন এখানে কিছুই ছিল না। সেই বাংলাদেশ এখন বিশ্বের কাছে প্রসংশিত একটি রাষ্ট্র। বিশ্ব জানতে চাই এই সাফল্যের রহস্য কি। দেশ সামনে আরও এগিয়ে যাবে, পণ্যের বাজার বহুমখি করণের মাধ্যমে। অনুষ্ঠানে তিনি বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে কর্মরতদের বলিষ্ঠভাবে দেশের প্রতিনিধিত্ব করার কথাও বলেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম কুটনীতিকদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে বসে তাদের সমস্যার কথা শোনবেন, সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করবেন। পাশাপাশি তিনি দেশে বিনিয়োগ আনা, নতুন রফতানি বাজার সৃষ্টি, জনশক্তি রফতানি বৃদ্ধিতে কাজ করতে কূটনীতিকদের প্রতি আহ্বান জানান।
বর্তমানে বাংলাদেশের কূটনীতিকরা ৫৮টি দেশে নিয়োজিত রয়েছেন। সম্মেলন শেষে কূটনীতিকরা একসঙ্গে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে দেখা করতে বঙ্গভবনে যান। বঙ্গভবনে কূটনীতিকদের সম্মানে রাষ্ট্রপতি নৈষভোজের আয়োজন করেন।
আর/এসএইচ