বিসিএস ছাড়া ক্যাডার: ৩ জনের মত নেবে হাই কোর্ট
প্রকাশিত : ০৭:৩১ পিএম, ৩০ নভেম্বর ২০১৭ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১০:৩৪ পিএম, ৩০ নভেম্বর ২০১৭ বৃহস্পতিবার
বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হয়েও শিক্ষা ক্যাডারের নিয়োগের বিরোধিতায় বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির করা রিট আবেদনের শুনানিতে আদালতের বন্ধু (অ্যামিকাস কিউরি) হিসাবে তিনজনের মতামত শুনবে হাই কোর্ট। বুধবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাই কোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ রায় দেন।
আইনজীবী-শিক্ষাবিদসহ তিন অ্যামিচি কিউরি হলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক এবং ব্যারিস্টার কামাল উল আলম।
এদিন আদালতে করা রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সালাউদ্দিন দোলন আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।
তাপস কুমার বিশ্বাস জানান, ২০০০ সালের রুলস অনুযায়ী জাতীয়করণ করা কলেজের শিক্ষকদের আত্তীকরণ করছে সরকার। এর বিরোধিতা করে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির রিট করেছিল। এ রিটের শুনানিতে আদালত তিনজনকে অ্যামিচি কিউরি হিসাবে নিয়োগ দিয়েছেন। তিনি বলেন, আদালতের এ আদেশ অ্যামিচি কিউরিদের কাছে পৌঁছে দিতে রেজিস্ট্রারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৫ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
রিট আবেদনের পক্ষে আইনজীবী সালাউদ্দিন দোলন বলেন, আইন অনুসরণ ছাড়া বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের নিয়োগ না দিতে ২০১৬ সালে একটি রিট করা হয়। ওই সময় রিটে রুল জারি করেছিল হাই কোর্ট। এ রুল শুনানিতে মতামতের জন্যই তিনজনকে অ্যামিচি কিউরি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০০ সালের বিধিমালা অনুসরণ করে সরকার জাতীয়করণ করা বেসরকারি কলেজের শিক্ষকদের বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে আত্তীকরণ করে আসছে। কিন্তু বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে শিক্ষা ক্যাডারে চাকরিরত কলেজ শিক্ষকরা সরকারের এ সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করে আন্দোলন করছেন। জাতীয়করণ করা কলেজের শিক্ষকদের বিসিএস ক্যাডার পদমর্যাদার শিক্ষকদের সমান সুযোগ না দেওয়ার দাবিতে কর্মবিরতিও পালন করেছে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি।
আর/টিকে